দৈনিক সমাজের কন্ঠ

কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের হয়রাণীর অভিযোগ

জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ কলারোয়া কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী সাতক্ষীরায় অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক
ব্যবসায়ীরা।

উপপরিচালক কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ী সাতক্ষীরায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও
কীটনাশক বিক্রেতাগণ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারি বরাদ্ধকৃত রাসায়নিক সার যথাসময়ে উত্তোলন পূর্বক সার বিতরণের নীতিমালা
অনুসরণ করে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে চাষীদের মধ্যে বণ্ঠন করে আসছেন। কিন্তু ১জানুয়ারী ২০২২ তরিখে কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ
কর্মকর্তা পদে জিয়াউল হক যোগদান করে তিনি উপজেলার বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের ভয় ভীতি প্রদান করে আসছেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের ঘরে যেয়ে ম্যাজেস্ট্রিসি আচরণ সহ উনাকে স্যার বলে সম্মোধন করতে বাধ্য এবং অশালীন আচরণ করেন। তিনি কৃষি অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই বিসিআইসি সার ডিলারদের দোকানে যেয়ে পাকা দোকান ঘর ভেঙ্গে নতুন করে ঘর করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় সার্বিক বিষয়ে তাকে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন।

যা কলারোয়ায় কেহ এমন ধরনের প্রস্তাব কখনও করেনি। ওই অভিযোগে আরো বলা হয়-কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে ৩.৩০০টাকা, আব্দুল্লাহর কাছ থেকে ৫০০০ টাকা, আজাহারুল ইসলামের কাছ থেকে ২.৫০০টাকা ও আব্দুর রশিদ এর কাছ থেকে ১২০০শত টাকা নিয়েছে।

এছাড়া কলারোয়া উপজেলার ১৩জন সার ডিলার পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নে যাওয়ার সরকারি বিধান
থাকলেও উপজেলা কৃষি অফিস দীর্ঘ দিন যাবৎ অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কলারোয়া পৌরসভার মধে মেসার্স রহততুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ (বাটরা), মেসার্স উচ্ছাস এন্টারপ্রাইজ (দেয়াড়া), মেসার্স আজিজুর রহমান  (কেড়াগাছি), মেসার্স আরবিএল কনস্ট্রাকশন (লাঙ্গলঝাড়া), মেসার্স আশরাফ ট্রেডার্স (হেলাতলা) ও
মেসার্স সততা এন্টারপ্রাইজ (কাজিরহাট) বহাল তবিয়াতে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দেখার কেই নেই।

চলতি নভেম্বর মাসে ওই ডিলারগণ ইউনিয়নে সার না
নিয়ে কলারোয়া গোডাউনে সব সার নামিয়েছে কৃষি অফিসারের সক্রিয় সহযোগিতায় বলে একটি সূত্র দাবী করেছে। এদিকে ১৭জন ব্যবসায়ী উল্লেখিত বিষয়ে তদন্ত পূর্বক উপজেলা কৃষি অফিসে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

এবিষয়ে অভিযুক্ত উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউল হক এর ০১৭১৬৫০১৫৩১ নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।