সুজন মহিনুল : বিশেষ প্রতিনিধি – ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০০৫ (সংশোধিত আইন ২০১৩) মতে বিড়ি সিগারেট ও জর্দ্দার বিজ্ঞাপন লাগিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এরপরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও কোম্পানী হাটে বাজারে কাটা পান দোকান ও মোদি দোকানের সামনে খালি সিগারেটের প্যাকেট সাজিয়ে ও পোষ্টার ছাপিয়ে তা ক্রেতাদের প্রদর্শন করে আসছিলেন।
এ কারনে, সারা দেশে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত ও গণসচেতনতায় ব্যাপক প্রচার শুরু করা হয়। এর মধ্যে এই প্রচারনায় প্রথম হয় নীলফামারী জেলা সদর। শহরবাসীর সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের উদ্দ্যোগে গণসচেতনতার পাশাপাশি আইনী পদক্ষেপের ফলে তামাকের বিজ্ঞাপনমুক্ত হয়েছে।
গণসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি গত তিন মাসে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেলা শহরকে বিজ্ঞাপনমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় আইন অমান্যকারী ১৩৩জনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে ৪১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডিপুডি কালেক্টর (এনডিসি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মাহবুব হাসান মোবাইল ফোনে জানান, ১০৮ টি মামলায় ২৫ হাজার ৯০০ টাকা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা সুলতানা ১৬টি মামলায় ১৫ হাজার ৮০০শত জরিমানার টাকা আদায় করেন। এর ফলে গোটা দেশের মধ্যে সিগারেটের আকর্শনীয় বিজ্ঞাপনমুক্ত নীলফামারী জেলা সদর প্রথম হয়েছে।
এ ব্যাপারে, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর (নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক) মো. আল-আমিন রহমান জানান, চলতি বছরের ২০ জুন বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনকে সম্মননা প্রদান করেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। আর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ওই মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনমুক্ত উপজেলা হিসেবে নীলফামারী সদরকে সারা দেশের মধ্যে প্রথম ঘোষনা করেন। আর এই ঘোসনায় জেলা প্রশাসনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ সময় সম্মাননা স্বারক গ্রহন করেন টাক্সফোর্স কমিটির সভাপতি ও সাবেক জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন এবং ওই কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন।
বর্তমান জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরি জানান, নীলফামারীকে তামাকমুক্ত করতে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে বিজ্ঞাপন বন্ধে কাজ করে যাচ্ছি। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে ও আইনের মাধ্যমে জেলা সদরকে বিজ্ঞাপনমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।