সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি :গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি, শীতে নাকাল মানুষ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সূর্যের মৃদু আলো ছড়ায় জেলা জুড়ে। তাই পাঁচদিন পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন শীতে নাজেহাল নীলফামারীর মানুষ। সূর্যের আলোয় ঝলমলে এখন নীলফামারী।
ঘর থেকে বের হয়েছে ঘেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষ, শুরু হয়েছে শহরে বন্দরে মানুষের প্রাণ চাঞ্চল্য। কর্মমুখর হয়ে উঠেছে পুরো নীলফামারী জেলা জুড়ে। পাঁচ দিনের কুয়াশা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ ভেদ করে দেখা দিয়েছে সূর্য। কিছুটা হলেও মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে। জেলা শহর ছাড়াও ভারতের হিমলায়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলার ডোমার ও ডিমলায় সূর্য দেখা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলার ডিমলা আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান। তিনি জানান, আজকার স্থানীয় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা শহরের জুম্মা পাড়া মহল্লার রিকশা চালক মিজানুর রহমান জানান, শীতের কনকনে ঠান্ডায় গত পাঁচ দিন ধরে রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। আজ সূর্যের দেখা মেলায় বেশ ভাল লাগছে। সকাল থেকে রোজগারও হয়েছে ভাল। লোকজন ঘর থেকে বের হওয়ায় শহরে কর্ম চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।
সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিন্ম ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। শুরু হয়েছিল ঠান্ডা বাতা ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সৈয়দপুরে সর্বনি¤œ ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও সবোর্চ্চ ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সর্বনিন্ম ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী ও সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রী ও সর্বোচ্চ ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তাপ মাত্রা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় সূর্যের আলোয় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে শহরবাসি। এই তাপমাত্রা আরো বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।