সুজন মহিনুল, বিশেষ প্রতিনিধি।।সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ সহ মুক্তির দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) বিকেলে দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে নীলফামারী প্রেসক্লাব, প্রথম আলো বন্ধুসভা, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুধি সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি ইসরাত জাহান পল্লবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের সভাপতি মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সারোয়ার মানিক, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিন হক ববী, প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, যমুনা টেলিভিশনের নীলফামারী প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি হাসান রাব্বী প্রধান, দৈনিক কালের কণ্ঠ নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, সাপ্তাহিক নীল চোখ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, দৈনিক নীলফামারী বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক শীষ রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, এছাড়াও সাংবাদিক তৈয়ব আলী সরকার, সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, মর্তুজা ইসলাম, সাদ্দাম আলী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আশিক ইকবাল সাদ প্রমুখ।
বক্তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন,‘ স্বাস্থ্য বিভাগের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের তথ্য তুলে ধরায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’ এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য গত সোমবার সচিবালয়ে গেলে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টে মামলা দিয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।