দৈনিক সমাজের কন্ঠ

নীলফামারীর ডোমারের স্কুল ছাত্রী ডিমলা থেকে উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি -নীলফামারীর ডোমারে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার ভিক্টিম এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতী সরকার পাড়া গ্রামের এক কৃষকের কন্যা। কেতকীবাড়ী আফগ্রেট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) কে ডিমলা উপজেলার বাবুর হাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ছেলে জোবায়েদুল ইসলাম শাকিল (২৮) প্রায় সময় স্কুল ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিতেন। স্কুল ছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। যার কারণে শাকিল ও তার সহযোগী মিলে গত ২৮অক্টোবর রাতে ফোনে কৌশলে স্কুল ছাত্রীকে বাড়ীর বাহিরে ডেকে নিয়ে এসে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিমলা এলাকায় এক বাড়ীতে রেখে গত ৬দিন ধরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে। এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ডোমার থানায় ৩জনকে আসামী করে ৭/৯ (১)/৩০ ধারায় অপহরণ ও ধর্ষন মামলা নং-০৪, তারিখ-০৩/১১/১৯ দায়ের করে। রবিবার (৩নভেম্বর) দুপুরে ডোমার থানার এসআই আজম হোসেন প্রধানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ডিমলা উপজেলার বাবুর হাট এলাকার একটি বাড়ী থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে।অপরদিকে অভিযুক্ত জোবায়েদুল ইসলামের পরিবার সুত্রে জানা গেছে,ওই স্কুল ছাত্রীটির সাথে জোবায়েদুলের দীর্ঘদিনযাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এবং তারা দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন।কিন্তু ছাত্রীটি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় ও তার পরিবারের সেই বিয়েতে সম্মতি না থাকায় জোবায়েদুলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন।
তাদের দাবি যদি ছাত্রীটি সত্যি অপহরন হয়ে থাকতো তবে ছাত্রীটির পরিবার এত দেরিতে মামলা করলেন কেনো?ছাত্রীটিকে তার পরিবার বুঝিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে না পেরেই মনগড়া মামলা করেছেন।
ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিক্টিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।