দৈনিক সমাজের কন্ঠ

নীলফামারির ডিমলায় বাড়িতে একা পেয়ে শিশুকে ধর্ষণ: জড়িত দুই ধর্ষক গ্রেফতার

মহিনুল ইসঃ সুজন, ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী। নীলফামারীর ডিমলায় ১১ বছরের এক পঞ্চম শ্রেণির শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার(১৮ জানুয়ারি)আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।এর আগে সোমবার(১৭ জানুয়ারি) উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ভেস্যি পাড়ায় এ ন্যাক্কারজনক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন দুপুরে শিশুটির বাবা ও মা সহ পরিবারের লোকেরা শিশুটিকে বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর সংবাদে মরদেহ দেখতে পার্শ্ববর্তী খালিশা চাপানী ইউনিয়নে যান।এ সময় শিশুটি বাড়িতে একাই ছিল।এই সুযোগে প্রতিবেশী মোশারফ হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া(১৫) ও আমিনুর রহমানের ছেলে বুলু বাদশা(১৫)ওই বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।পরিবারের লোকেরা আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শেষ বিকেলে নিজ বাড়িতে ফিরে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে কাতরাতে দেখেন।পরে তারা শিশুটির কাছ থেকে ঘটনা জেনে রাতে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।পরে রাতেই সেখান থেকে শিশুটিকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও সেল রংপুর হেফাজতে নেয়া হয়।এ ঘটনায় শিশুটির বড়  ভাই বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা নম্বর ৯,তারিখ ১৮/১/২০২২ইং দায়ের করেন।ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত ওই দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেন ডিমলা থানা পুলিশ।মামলার বাদী শিশুটির বড় ভাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সে সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শফিকুল ইসলাম বলেন,শিশুটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অন্যান্য বিষয় গুলো চিন্তা করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ব্যাপারে শিশুটির বড় ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।