সমাজের কন্ঠ ডেস্ক: নরসিংদী মডেল থানার ওসি ও এসআই সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা। নরসিংদীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও উপ পরিদর্শকসহ (এসআই) তিনজনের এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার বিকেলে নরসিংদী আদালতের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. রকিবুল ইসলামের আদালতে শহরের বানিয়াছল এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মুন্সি বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে র্যাব-১১ কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন, নরসিংদী সদর মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও বর্তমানে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক ও পুলিশের কথিত সোর্স সবুজ।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির মুন্সি ও তার ছেলে আতিক দীর্ঘদিন যাবত নরসিংদী শহরের বানিয়াছল বটতলা বাজারে কাঠের ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছেন। করোনাভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা বাজারের ব্যবসায়ীদের জানা ছিলো না।
গত ২১শে জুন সোমবার সন্ধ্যার পর ফার্নিচারের দোকান খোলা রাখার অপরাধে হুমায়ুন কবিরের ছেলে আতিকসহ বিভিন্ন দোকান থেকে ৬ জনকে মারধর করতে করতে ধরে নিয়ে যায় সদর থানার এস.আই মোস্তাক ও পুলিশের কথিত সোর্স সবুজ।
পরে নরসিংদী সদর মডেল থানা থেকে ছেলে আতিককে ছাড়িয়ে আনতে ফার্নিচার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরকে খবর দেয় পুলিশের সোর্স সবুজ মিয়া। হুমায়ুন কবির থানায় গিয়ে জানতে পারেন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার ছেলে আতিক ছাড়া অন্যান্যদের ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এসময় ছেলেকে ছাড়ানোর জন্য অনুরোধ করলে তৎকালীন নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বর্তমানে মাধবদী থানায় কর্মরত সৈয়দুজ্জামান ও নরসিংদী মডেল থানার এস আই মোস্তাক ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে ছেলেকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
এসময় নিরুপায় হয়ে ছেলেকে বাঁচানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন পিতা হুমায়ুন। পরে বাকি টাকা দিতে না পারায় আতিককে অমানসিক নির্যাতন চালানো হয় এবং পরের দিন একটি পুরাতন (পেনডিং) ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদি হুমায়ুন কবির মুন্সি জানান, আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে থানায় কোনো অভিযোগ পর্যন্ত নেই। অথচ ওসি সৈয়দুজ্জামান ও এস আই মোস্তাক বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। দাবিকৃত চাঁদার পুরো টাকা দিতে না পারায় ডাকাতির মামলায় কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমার নিরপরাধ ছেলেটার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে তারা। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।