ডা. শাহরিয়ার আহমেদঃ আজ নিরবে চলে গেলো ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক মোল্যা বাঘার ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী
এক নজরে জনাব নুরুল হক মোল্যা বাঘাঃ
তিনি যশোর জেলার অন্তর্গত অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বুইকারা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মোল্যা পরিবারে ১৯৩৮ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন”।
তিনি অমায়িক ব্যক্তি হিসাবে দলমত নির্বিশেষে সবার নিকট ছিলেন আপনজন ও গুরুজনের মতো। জনাব নূরুল হক মোল্লা বাঘাকে এলাকার সকলেই বাঘা নামেই চিনতেন। স্বাধীনতাপূর্ব অভয়নগর থানা আওয়ামী লীগের ২ বার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১ বার সহ সভাপতি ছিলেন।
তিনি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহের ৭১ এর গণ-পরিষদ সদস্য, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব শাহ্ হাদীউজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য জনাব এম.এম আমিনউদ্দীন, অভয়নগর থানার সর্বজন শ্রদ্ধেয় থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহের মরহুম আলহাজ্ব মোকসেদ আলী ফারাজী, সমসাময়িক, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু ছিলেন।
এবং একই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং অভয়নগর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৬ সালে এরশাদের আমলে বাংলাদেশ প্রথম উপজেলা নির্বাচনে তিনি অভয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
এর পরে তিনি ১৯৯৪ জাতীয় পার্টি ত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করেন।
পরে তিনি ২০০৩ সালে অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১৪ই এপ্রিল শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যু কালে তিনি ৩ পুত্র, ২ কন্যা রেখে গেছেন।
তিনি মৃত্যুর দিন পর্যন্ত বিএনপির একজন অবিভাবক হিসাবে বিএনপির সকল কর্মসূচিতে সরব অংশগ্রহন করেন এবং সকল নেতাকর্মির পিতৃতূল্য নেতা হিসাবে বটগাছের মতো আগলে রাখেন।
অভয়নগরের গনমানুষের এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবীদ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব নূরুল হক মোল্যা বাঘাকে মহান আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন, আমীন।
(Copy & Edit)