শেখ জাকারিয়া রহমান (স্টাফ রিপোর্টার) – শিশু ও নারী ধর্ষণ প্রমানিত হলে আসামীদের দ্রুত প্রকাশ্যে ফাসি বা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড নয় কেনো? বাংলাদেশে বর্তমানে শিশু ও নারী ধর্ষণ এবং নির্যাতন এক মহামারী আকার ধারন করেছে। বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ এখন প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে শিশু ও নারী ধর্ষণের মতো ঘটনা।এই ঘটনাগুলির প্রধান কারনই হলো দেশের প্রচলিত আইনে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির অভার ফলে ধর্ষকরা আইনের ফাক ফোকর দিয়ে মুক্ত হয়ে আরো বেশি সাহসী হয়ে উঠছে এবং ধর্ষনের মতো এক ভয়ঙ্কর অনৈতিক কাজে উৎসাহী হয়ে উঠছে আজ ২৯শে এপ্রিল সোমবার দৈনিক সমাজের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ড, শাহরিয়ার আহমেদ একটি সাক্ষাৎকারে এই কথাগুলি বলেন। তিনি ধর্ষণের মত নৈতিকতা বিবর্জিত কর্মকান্ডের চরম সমালোচনা করেন এবং এই অনৈতিক কর্ম রোধে প্রশাসন ও স্ব স্ব পরিবারকে সচেতন হবার আহবান জানান। ধর্ষকরা শুধু ধর্ষণ করেই থামছেনা, ধর্ষিতাকে হত্যাও করছে। শুধু যে নারী ও শিশু ধর্ষণ হচ্ছে তা নয় বালক শিশুও বলাৎকারের শিকার হচ্ছে কতিপয় কুরুচিপূর্ণ অসৎ মানুষ নামের নরপশু দ্বারা। খবরের কাগজ খুলতেই আমাদের আঁতকে উঠতে হয় ধর্ষণের কাহিনী পড়ে। যখন ধর্ষক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তখন ধর্ষক রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে কিংবা আইনের ফাক ফোকর দিয়ে অনায়াসে মুক্ত হয়ে যায়। যারা নারী ও শিশু ধর্ষনকারীরা এরা কি আসলে মানুষ? এরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। এদের প্রকাশ্যে ফাসী অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মুত্যুদন্ড কার্যকর করা উচিত। যেটা সরাসরি দেখে অন্য সকলে সতর্ক হতে পারে। এই ধরনের আইন করা উচিত যে আসামীরা যখনই ঘটনা স্বীকার করবে তখন আর কোর্টে যাওয়ার কোনো দরকার নাই?