মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলা সদরের একটি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গত শুক্রবার সকালে বাবার জন্য জমিতে খাবার নিয়ে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার দাড়িগাঁও গ্রামের মো. রেজাউল করিম ওরফে রাজা মিয়ার ছেলে সুমন সরকার তাকে ভংগারচর গ্রামের রজ্জব আলী মাস্টারের কাঠ বাগানের কাছে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। মেয়েটি বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। এ ঘটনায় রোববার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে হোমনা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ধর্ষক সুমনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় গত ২০১৭ সালে একটি গণধর্ষণ, ২০১৩, ১৭ ও ১৮ সালে তিনটি মাদক মামলা এবং ২০১৫ সালে তিনটি মারামারির মামলা রয়েছে। সে সম্প্রতি জামিনে এসে গত শুক্রবার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এলাকাবাসী অবিলম্বে ধর্ষক সুমনকে গ্রেফতার দাবি করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, মামলা করার পর থেকে সুমন ও তার লোকজন আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয় মাথাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিরুল হক ভূঁইয়া জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবে মানতে পারি না, সুমনকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
হোমনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী নাজমুল হক জানান, সুমন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও গণধর্ষণ, মাদকসহ নানা অভিযোগে থানায় সাতটি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।