সমাজের কন্ঠ ডেস্ক: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মা-মেয়ে। শুক্রবার রাতে উপজেলার রাণীগাঁও ইউনিয়নের গরমছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী যুবতী বাদি হয়ে শনিবার রাতে ১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রোববার বিকেলে অভিযুক্ত শাকিল মিয়া ও তার সহযোগী হারুন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহারে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাহাড়ি এলাকা গরমছড়ির ফরেস্ট মাজার সংলগ্ন ওই বাড়িতে যায় পূর্বপরিচিত শাকিল মিয়াসহ ৩ জন। স্থানীয় বসতি থেকে বিচ্ছিন্ন ওই ঘরে তখন মা-মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিলো না। এ সময় শাকিল ও তার সহযোগীরা পূর্বের একটি পারিবারিক বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিলসহ ২ জন যুবতী মেয়ে (২৫) কে এবং আরেকজন মা (৪৫) কে ধর্ষণ করে। যাবার সময় কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে মানা করে তারা যুবতীর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়।
আরও জানা যায়, তারা চলে যাবার পর মা ও মেয়ে ঘটনাটি স্থানীয়দের জানান। পরদিন শনিবার এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবতী। আজ রোববার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাদের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকেলে উপজেলার জিবদর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মামলার প্রধান আসামি শাকিল মিয়া ও তার সহযোগী একই গ্রামের রেজ্জাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি শুধুই গণধর্ষণ নাকি এর পেছনে অন্য কিছু রয়েছে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
এলাকাবাসী জানায়, বছরখানেক আগে মামলার বাদি যুবতীর ভাই পার্শ্ববর্তী জিবদর গ্রামের জনৈক আব্দুল কাইয়ুমের মেয়েকে বিয়ে করেন। কিছুদিন সংসার করার পর প্রায় ৮ মাস আগে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি রেখে আসেন ভুক্তভোগী যুবতীর ভাই। এরপর বারবার যোগাযোগ করলেও তারা বাপের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূকে নিয়ে আসেননি। এর জের ধরেই শাকিল মিয়াসহ ৩ জনকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ৫ হাজার টাকায় আব্দুল কাইয়ুমকে ভাড়া করেন বলে এলাকায় জোর গুঞ্জন রয়েছে। গৃহবধূকে দ্রুত বাড়িতে তোলার জন্য ভয়ভীতি দেখাতে এসেই অভিযুক্তরা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চম্পক ধাম জানান, অভিযুক্ত অন্যান্যদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সম্ভাব্য সকল বিষয় মাথায় রেখে ঘটনাটির তদন্ত চলছে। এর সাথে জড়িত সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
– যমুনা টেলিভিশন