সমাজের কন্ঠ ডেস্ক: সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, সিলেট শাখা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সিলেটের চৌহাট্টায় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাতজনের ছবি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এ গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন: এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন, রাজন আহমদ এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল এবং তারেক আহমদ।
তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে, রনির বাড়ি হবিগঞ্জে এবং তারেক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত এ কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় মধ্যরাতে ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে একটি পাইপগান, চারটি রামদা এবং দু’টি লোহার পাইপ রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম দিকে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা আপোষেরও চেষ্টা চালান। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় দীর্ঘ সময় ক্ষেপণের কারণে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিতে সক্ষম হন। অবশ্য পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ধাপাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগ নেতারা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধুকে গণধর্ষণ করে তারা। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।