সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – কিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল আজ মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ সভা ডেকেছে পিএসসি। সভা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আজ আমাদের বিশেষ সভা আছে। এরপরই ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে পারে।’ এই বিসিএসে পদের সংখ্যা বাড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই সম্ভাবনা নেই। এই বিশেষ বিসিএসে ৪ হাজার ৫৪২ জন সহকারী সার্জন আর ২৫০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে থেকে যাতে আরও ২ হাজার ২৫০ চিকিৎসক নেওয়া হয়, সে জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। যার অনুলিপি পিএসসিকে দেওয়া হয়। পরে এ বছরের ১৫ এপ্রিল এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সময় দেয় পিএসসি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো জবাব পিএসসিতে আসেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় এই বিসিএস থেকে আরও দুই হাজার চিকিৎসকসহ মোট ৬ হাজার ৫৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, উপজেলা থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এক হাজার চিকিৎসক অবসরে যাবেন। ৩৯তম বিসিএস থেকে যে ৪ হাজার ৫৪২ সহকারী সার্জন ও ২৫০ সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। সব বিষয় বিবেচনা করে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ৩৯তম বিশেষ বিসিএস আয়োজন করা হয় চিকিৎসকদের জন্য। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর গত ৭ মার্চ এই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত ফলাফল দেবে পিএসসি। পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ জন এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৫১৩ জন প্রার্থী পাস করেছেন। পাস করা প্রার্থীরা চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন। গত বছরের ৩ আগস্ট ৩৯তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ৩২টি কেন্দ্রে এই বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা হয়। এতে প্রায় ৩৭ হাজার ৫৮৩ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ৯৩ শতাংশ