দৈনিক সমাজের কন্ঠ

গ্রীষ্মের খরতাপে রক্তিম জাগরণ।কৃষ্ণচুড়ার রং লেগেছে রূপগঞ্জে

মোঃ শাকিল আহমেদ (নারায়নগঞ্জ) – গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ায় সময়ের শিহরণ, গ্রীষ্মের খরতাপে রক্তিম জাগরণ’। গ্রীষ্ম এসেছে এ কী শুধু গরম আর খরতাপ দিয়েই উপলব্ধি করার বিষয়? একদমই না। গাছে গাছে রক্তিম জাগরণে কৃষ্ণচূড়া ফুলও যে গ্রীষ্মের সৌন্দর্য বার্তার উপমা। দিন দুপুরে চারদিক যখম খা খা করছে, তখন বটের ছায়ায় কবির সুরে সুর মিলালে ক্ষতি কি, ‘কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে- তুমি আসবে বলে, রংধনুটা মেঘ ছুয়েছে আকাশ নীলে- তুমি আসবে বলে’- জীবনের কর্মব্যস্ততায় হয়তো শিরদাঁড়া উচু করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়াকে পাশ কাটিয়ে গেছেন অনেকে। কিন্তু এক পলক দৃষ্টিতে যারা দেখেছেন রক্ত রাঙা একঝাক কৃষ্ণচূড়া ফুটে উঠতে; তারা কেবলই হয়েছেন পুলকিত। পুলক ছড়িয়েছে, ছড়াবে মনে প্রাণে। নতুন বছরে নতুন করে রাঙিয়ে যেতে কৃষ্ণচূড়ার সাজে মন সাজালে ক্ষতি কি? এতো কৃষ্ণচূড়ার ফুলে মুগ্ধ দৃষ্টি দেওয়ার দিন। মেঘলা আকাশ কিংবা মেঘমুক্ত। গাছের মগডালে জেগে ওঠা কৃষ্ণচূড়ার জুড়ি নেই বটে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু। আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগ তো রয়েছেই। সৌভাগ্যক্রমে রূপগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় এ ফুলটির গাছ এখনও টিকে রয়েছে। আমাদের দেশে মূলত দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেখা যায়। একটি আগুনের মত উজ্জ্বল লাল, অন্যটি লাল ও সামান্য হলুদ। তবে লাল কৃষ্ণচুড়ার প্রাচুর্যই বেশি চোখে পড়ে। লাল হলদেটে রঙের কৃষ্ণচুড়া বর্তমানে বেশ বিরল। কৃষ্ণচূড়া গ্রীষ্মের অতি পরিচিত একটি ফুল। বাঙালীর কবিতা, সাহিত্য, গান ও বিভিন্ন উপমায় এ ফুলের কথা নানা ভঙ্গিমায় উঠে এসেছে। শোভাবর্ধন কারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রাম-বাংলার পাশাপাশি এখনও তার নড়বড়ে অস্তিত্ব নিয়ে কোনক্রমে টিকে আছে রূপগঞ্জে পথে প্রান্তরে। জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাষ্কায়। ভীনদেশি এ ফুলের বৃক্ষগুলো আমাদের দেশে এসে নতুন নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হয় রাধাঁ ও কৃষ্ণের নাম মিলিয়ে এ বৃক্ষের নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। এর বড় খ্যাতি হলো গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে ব্যস্ত পথচারীও থমকে তাকাতে বাধ্য হন। এ গাছ মধ্যক থেকে লম্বা গড়নের মাথা ছড়ানো। ফুট ফোটে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কমলা অথবা লাল রঙ্গের আকর্ষণীয় ফুলের ডালের আগা গুলো ছন্দবদ্ধ। আগস্ট ও অক্টোবরের মাঝামাঝি ফুল হয়। শুটি ৩০-৬১ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।চমৎকার পাতা ও সুন্দর ফুলের জন্য সারাদেশে জনপ্রিয়। বাগান ও রাস্তার পাশে ব্যাপকভাবে রোপণ করা হয়।কৃষ্ণচুড়া ফুটেছে ইউ এন ওর বাস ভবনের সামনে,উপজেলা মোড়,সরকারি মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে,ভূইয়া বাড়ির সংলগ্ন, রাসেল পার্ক এলাকায়,সলিমুল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে,ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে,আর পূর্বাচল উপশহর এলাকায় কৃষ্ণচুড়ার গাছে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। আর সেই রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে ভালোবাসার উতাপ। এ ফুলের সৌরভে শালিক, ফিঙ্গে, ঘুঘুসহ দেশি প্রজাতির নানা পাখি আজ মাতোয়ার। তারিখ ঃ ১৭/৫/২০১৯ মোঃ শাকিল আহম্মেদ রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ