শার্শা থানা পুলিশের উদ্দোগে গুজবে কান না দিতে সচেতনা মুলক প্রচারনা

0
1

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(যশোর)প্রতিনিধি : পদ্মা সেতুতে শিশুর কাটা মাথা ও রক্ত লাগবে।  এমন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। 

এমন অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে যশোরের শার্শা উপজেলায়সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।  সে লক্ষে যশোর জেলা পুলিশের নির্দেশে শার্শা থানা পুলিশের পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসায় সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করা হয়েছে এবং এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় পৃথক পৃথক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নাভারন পুলিশ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান, শার্শা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল আক্তার, গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি (এএসআই) আনসার আলীসহ অন্যান্য সদস্যরা।

সচেতনতামূলক বক্তব্য বলা হয়, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।  স্কুল-কলেজ ছুটির পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ত্যাগের বিষয়টি শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।  আপনারা কেউ গুজবে কান দিবেন না।  তাছাড়া উপজেলা থানা পুলিশে পক্ষ থেকে সকল পুলিশ ফাঁড়িকে সচেতন বক্তব্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণ যাতে ছেলেধরা গুজবে কান না দেয় সে জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে।  সকল জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া মসজিদের ইমাম, এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, সুধী সমাজ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রতিনিধিদের প্রচারণা চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।  কেননা, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা একটি ফৌজদারী অপরাধ।

প্রত্যেক এলাকায় কোনো অপরিচিত ব্যক্তির চলাফেরায় সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here