দৈনিক সমাজের কন্ঠ

মৃত্যুর কাছে হার মানলেন শার্শা সীমান্তে চোরাকারবারীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আহত বিজিবি সদস্য

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি : যশোরের শার্শার পাঁচ ভুলাট সিমান্তে চোরাকারবারীদের নিক্ষিপ্ত বোমায় গুরুত্বর আহত হাবিলদার মোঃ আকমল হোসেন (৫২) সিএমএইচ, ঢাকায় ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সে শার্শা উপজেলার পাঁচভুলট সীমান্তে টহলে নিয়োজিত ছিলেন (খুলনা ব্যাটালিয়ন ২১ বিজিবি) । যার ব্যচ নম্বর-৫০০৩২। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা এবং এক পূত্র সন্তান রেখে গিয়েছেন।

২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, হাবিলদার আকমল হোসেন গত ২৬ জুলাই রাত আনুমানিক ২ টায় পাঁচভুলট বিওপির একটি নিয়মিত টহল দলের দলাধিনায়ক হিসেবে সীমান্তের ১৭/৭ এস এর ৯৮ আর পিলারের সন্নিকটে চোরাচালান প্রতিরোধী টহলে নিয়োজিত ছিলেন। ঐ সময়ে দু’টি ভারী ব্যাগ হাতে দু’জন ব্যক্তি এবং আরো কয়েকজন ব্যক্তি টহল দলের দিকে আগুয়ান হতে থাকলে সন্দেহবশতঃ টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আকমল হোসেন তাদেরকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু আগুয়ান প্রথম ব্যক্তি না থেমে আকস্মাৎ তার হাতে থাকা ব্যাগটি সজোরে হাবিলদার আকমলের দিকে নিক্ষেপ করে দৌঁড়ে পলায়ন কালে ব্যাগে রক্ষিত হাতবোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এর ফলে বোমার স্পিøন্টারের আঘাতে হাবিলদার আকমলের সমগ্র শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। একটি স্পিøন্টার তার বাঁ চোখের কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করে মস্তিস্কে ঢুকে যায়। আশঙ্কাজনকভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে অতিদ্রুত যশোর সিএমএইচ-এ প্রেরণ করে।

গত ২৭ জুলাই সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকা সিএমএইচ-এ প্রেরণ করা হয়। সেখানে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন।