বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে এ ৫টি কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ৫ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৯,২২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪,৫৯৭ জন ও মহিলা ৪,৩৩৪জন।
এর মধ্যে আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১৩৬ ভোট, ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৭১৬ ভোট, আলীপুর সেন্ট্রাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ৭৮৯ ভোট, ধানের শীষ পেয়েছে ৫৩৮ ভোট, আলীপুর দিঘীর পাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ১৬০ ভোট, ধানের শীষ পেয়ে ১০১৩ ভোট, বুলারাটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে ১৭৫ ভোট, ধানের শীষ পেয়েছে ১০৫৭ ভোট ও দক্ষিণ আলীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা পেয়েছে ১৩৬ ভোট এবং ধানের শীষ প্রতিক পেয়েছে ৭৪৪ ভোট। ৫টি কেন্দ্রে কাস্টিং ভোটের মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৪০৬৫ ভোট পেয়েছে ধান শীষ এবং নৌকা পেয়েছে ১৩৮৫।
পূর্বের ৪টি কেন্দ্রেসহ সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৭শ। এর মধ্যে ধানের প্রতীকে ১০,১১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত আব্দুর রউফ। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউর রহমান ময়ুর ৩,১১৭ পেয়ে পরাজিত হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন পুনঃনির্বাচনে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা নকিবুল হাসান।
এর আগে আলিপুর ইউনিয়নে চারটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আলহাজ্ব মোঃ আব্দুর রউফ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬০৫০ ভোট। আর মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১৭২১ ভোট।
উল্লেখ্য, আলিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা কমিশনে আবেদন করলে কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতিকের মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭২১ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতিকের মোঃ আব্দুর রউফ পেয়েছিলেন ৬০৫০ ভোট। এই চারটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
অন্য পাঁচটি কেন্দ্রেও ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করে ভোট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ঘোষিত ফলাফল বাতিল এবং পাঁচ কেন্দ্রে পূণরায় ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আদালতের কাছে। দীর্ঘদিন মামলাটি শুনানীর পর মহামান্য উচ্চ আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বাকী পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৭ জুন নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকী পাঁচটি কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে আর নির্বাচন কমিশন ব্যালট ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলো সকাল আট টায়। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, ম্যাজিষ্ট্রেট, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের একাধিক দল বিরামহীনভাবে মাঠে কাজ করেছেন। প্রশাসনের আশ্বাসে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন পছন্দের প্রার্থীকে।