সাতক্ষীরা প্রতিনিধি -৩০ জুলাই, ২০১৯:
সাতক্ষীরায় পাটক্ষেত থেকে পরিবহন শ্রমিক আলামগীর হোসেন আলম (৩৫) নামে এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের পাটক্ষেত থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আলমগীর হোসেন গোবিন্দকাটি গ্রামের ফকির সরদারের ছেলে এবং সাতক্ষীরার সংগ্রাম পরিবহনের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আলমগীরের মা খাদিজা খাতুন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে আলমগীরের ছোট স্ত্রী রহিমার মুহুর্মুহু ফোনে পেয়ে তিনি ছেলের ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় বিয়ের কারণে প্রথম স্ত্রী ও তার স্বজনরা আলমগীরকে খুন করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
আলমগীরের প্রথম স্ত্রীর সস্তান স্কুলছাত্রী দিশা বলেন, তার বাবাকে কে বা কারা মেরেছে তা সে বলতে পারে না। তবে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবা তাদের বাড়িতে এসে মায়ের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যায়।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ বলেন, আলমগীরকে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে মারা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো আছে। মৃতদেহের পাশে একটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের প্রথম স্ত্রী আয়েশাকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১টা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।