নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শার পল্লীতে একটি মাছের ঘেরে বিষ দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ মেরে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।
উপজেলার বালুন্ডা দক্ষিনপাড়া গ্রামে তৌহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মাছের ঘেরে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে।
মৃত মাছ ওই এলাকার শত শত মানুষ পানিতে নেমে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আর মাছ চাষী মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে ওই ঘেরের পাশে। উৎসুক জনতা ঘেরের পাড়ে দাঁড়িয়ে মরা মাছ ধরার দৃশ্য দেখছে।
তৌহিদুর রহমান শার্শা উপজেলার মহিষাকুড় গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে।
মাছের ঘেরের নাইট গার্ড আলতাফ হোসেন বলেন, সে রাত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর রাত আনুমানিক ২ টার দিকে মাছ লাফালাফির শব্দ শুনতে পায়। তখন ঘুম থেকে উঠে লাইট মেরে দেখে অনেক মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে তার সন্দেহ হয় হয়ত অক্সিজেন এর অভাবে এরকম হয়েছে। এরপর সে গ্যাস ট্যাবলেট দেয় ঘেরে। তাতেও কোন পরিবর্তন দেখা যায় না। মাছ মরে ভাসতে থাকে। এরপর আমি ঘেরের মালিক তৌহিদুরকে খবর দেই।
স্থানীয়রা বলেন, এটা অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়নি। ঘেরে কেউ বিষ প্রয়োগ করেছে। ঘেরের প্রায় দেড় থেকে ২ শত মন মাছ মরেছে।
ঘের মালিক তৌহিদুর রহমান বলেন, সে একজন মাছ চাষী। তার কয়েকটি ঘের রয়েছে। হয়ত কেউ শত্রুতা মুলক ভাবে মাছ মারতে বিষ প্রয়োগ করেছে। কাউকে সন্দেহ হয় কি না জানতে চাইলে সে বলে আমি কাউকে বিষ দিতে দেখি নাই। আন্দাজে কারো নাম বলা ঠিক হবে না। আমার প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ মেরেছে। আমি সরকারের কাছে ক্ষতি পুরুন দাবি করছি। এ বিষয় থানায় বা অন্য কোথাও কোন অভিযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে বলে কার নামে অভিযোগ করব। তবে কিছু মরা মাছ ধরে নাভারন, বাগআঁচড়া, জামতলা, মনিরামপুর বাজারে পাঠিয়েছি। ঘেরে পাঙ্গাস, তেলাপিয়া এবং রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ ছিল।
গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, এটা পরিকল্পিত ভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে। এই ভাবে যদি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে তবে মাছ চাষীরা নিরুৎসাহী হবে মাছ চাষ করতে।