দৈনিক সমাজের কন্ঠ

বাগআঁচড়া ও আশপাশের বাজারে নিয়ন্ত্রনহীন উর্ধমুখি কাচা মরিচের দাম

নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ কোনোভাবেই কমছে না যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ও আশপাশের বাজার গুলাতে কাঁচা মরিচের দাম।ইন্ডায়া থেকে আমদানিকৃত এলসির কাঁচা মরিচ বাজারে ঢোকার পর ও বর্তমানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। তবে বাজার ভেদে দামের তারতম্য রয়েছে।অথচ আড়তে দেশী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত মরিচ বিক্রি করছেন ১১০থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার চালিবাড়িয়া,রুদ্রপুর,গোগা,জামতলা,ও বাগআঁচড়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১৫০ থেকে১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
এতে করে মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন।মধ্যস্বত্বভোগী আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি থাকলেও মরিচের ঝালে চোখ মুছতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে এখন প্রতিদিনই কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। বেশি দামে কেনার কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের দাবি বৃষ্টির অজুহাতে দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে গোগা বাজারে কাঁচা মরিচ খুচরা বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়। সেখান থেকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়কিলোমিটার দূরে বাগআঁচড়া বাজারে  বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকায়।
গোগা বাজারের এক ব্যবসায়ী  জানান, ঈদের পর থেকেই টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে গত ৩-৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলে ও বাজারারের যে অবস্থা তাতে সামনের দিকে আরও দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস চরমে পৌঁছেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে প্রতিনিয়ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা কটাকাটির ঘটনা ঘটছে।
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাগআঁচড়ার মের্সাস সবুজ ভান্ডার এর পরিচালক সলেমান বলেন, দুইদিন আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ টাকা । গতকাল বাজারে ইন্ডিয়ান এল সির কাঁচা মরিচ এসে একটু  দাম কমেছে । আজ কাঁচা মরিচ এর মূল্য  ১৪০ টাকা পাইকারি।
আল আমিন ভান্ডারে এর পরিচালক মোঃ রাকিবুর রহমান বলেন আমরা যেমন দামে ক্রয় করি অল্প লাভ রেখে বিক্রয় করি ।
বাগআঁচড়া গ্রামের ক্রেতা মেহেদী বলেন,কাঁচা মরিচ একটি নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য। দাম বেশি হওয়ায় আমাদের জন্য প্রয়োজন মতো কিনে খাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। সরকারী ভাবে বাজার মনিটরিং এর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন,বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম।বাজার মনিটরিং করে তদন্ত পুর্বক আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।