জনি আহমেদ (শার্শা) – যশোরের শার্শার পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অজ্ঞাত রোগ (ম্যাস হিস্টোরিয়া) আক্রান্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল বের হলে মুহুর্ত্বেই উত্তাল হয়ে যায় শিক্ষাঙ্গণসহ শার্শা। মিছিলটি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে মেইন সড়ক ধরে গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ শেষে অত্র বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শ্লোগান ও প্লেকার্ডের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বহিস্কার করার জন্য জোর দাবি জানায়। মিছিল শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক ছাত্র জমায়েতের মাধ্যমে তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে। (১) প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার কর করতে হবে (২) ম্যানেজিং কমিটিকে রদবদল করতে হবে (৩) অসুস্থদের সু-চিকিৎসা ও নায্য ক্ষতি পূরণ দিতে হবে (৪) অসুস্থ হওয়ার মূল কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে (৫) বিদ্যালয়ের অবৈধ নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করতে হবে। এই পাঁচ দাবি মেনে নিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে মনযোগী হবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান। উত্তাল শার্শাকে শান্ত করতে মুহুর্ত্বেও মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সকলের সাথে আলোচনা শেষে আগামী শনিবার সকাল ১০ টার সময় এ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসা হবে ও তাদের পাঁচটি দাবি মেনে নেয়ার আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা সাময়ীক ভাবে আন্দোলন বন্ধ করে দেয়। পরিশেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনা স্বাভাবিক নয়। তাই অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধান না হলে আরো কঠোর আন্দলনে নেমে পড়বে শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে পাটদান চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে অর্ধশতাধীক শিক্ষার্থীরা একের পর এক অসুস্থ্য হতে থাকে। এসময় সহকর্মীরা ও স্থানীয়রা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাদেরকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত চিকিৎসার জন্য শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এদিকে স্থানীয়রা ও অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন আগে স্কুলে সকল শিক্ষার্থীদের একটি করে ক্রিমীনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। আর সে কারনেই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ্য হয়ে পড়তে পারে। তবে ঘটনার সঠিক সত্যতা এখনও জনসাধারনের মাঝে আতঙ্ক।