নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়ায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ হাসপাতালটি নির্মাণের ৮ বছর পরও কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষ ।
এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ময়লা আর্বজনায় ভরে গেছে হাসপাতাল চত্বর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটি পড়ে থাকায় এটা এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এছাড়া এই এলাকায় কোনো ক্লিনিক /হাসপাতাল না থাকায় মানুষের জরুরী চিকিৎসা সেবা নিতে নাভারণ অথবা যশোরে যেতে হয়। দুরের পথ হওয়ায় অনেক সময় পথের মধ্যেই রোগী মারা যায়। এ হাসপাতালটি চালু হলে এ এলাকার বিশেষ করে গরীব অসহায় রোগীরা বেশী উপকৃত হবে।
এলাকাবাসী বলেন, হাসপাতাল নির্মান শেষ হয়েছে গত ৮ বছর আগে কিন্তু আজও চালু হয়নি। এই হাসপাতাল থেকে আমরা কোন সেবা পায় না। জরুরী চিকিৎসা নিতে যেতে হয় অনেক দূরে। অনেক সময় দূরে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছাতে গিয়ে রোগী মারা যায়। আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা হোক। সাত আট বছর ধরে এই হাসপাতালটি বন্ধ আছে। যার কারণে মাদকসেবনকারীরা হাসপাতালে ভিতরে মাদকসেবন করে।হাসপাতালটি চালু করলে আর মাদকসেবনকারীরা আড্ডা দিতে পারবে না। হাসপাতাল যখন হয়েছিল তখন আনন্দ উপভোগ করেছি আমার কিন্তু এখন আরও বেশি দুঃখ ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। দ্রুত হাসপাতালটি চালু করে দিতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
যশোর সিভিল সার্জেন ডাঃ শেখ আবু শাহীন জানান, শার্শার গোড়পাড়ায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ হয়েছিল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আমরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কাছে হাসপাতালটি বুঝিয়ে দিয়েছি।