নাজিমউদ্দিন জনি, শার্শা প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শায় ৮ বছরের এক শিশু ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে আলিম (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চান্দুড়ীয়ার ঘোপ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ওই শিশু কন্যাকে গত ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮ টার সময় ওই ব্যক্তি ধর্ষন চেষ্টা করে। শিশুটির চিৎকারে ধর্ষন চেষ্টকারী আলিম পালিয়ে যায়। শিশুটি নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আলিম শার্শার চান্দুড়িয়ার ঘোপ গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। এবং শিশুটি একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের মেয়ে।
শিশুটির মা রাবেয়া বেগম বলেন, মেয়েকে রেখে সে মাঠে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিল। তার বাবা শার্শায় একটি জুট মিলে কাজ করতে যায়। এই সুযোগে আলিম ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তার কন্যার মুখ চেপে ধরে পরনের প্যান্ট খুলে ফেলে। এরপর শিশুটি মুখ থেকে আলিমের হাত সরিয়ে দিয়ে চিৎকার করলে আলিম পালিয়ে যায়। শিশুটি নাভারন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি আর বলেন, এ ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীরা একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আলিমুর রহমান ও লিটন হোসেন বিচার করে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে ওই আলিমের নিকট থেকে। আপনি টাকা পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলে না আমাকে কোন টাকা পয়সা দেয়নি।
ওই গ্রামের জাহের আলী, মিতা, ও মনির উদ্দিন বলেন, আলিম মেয়েটিকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তাদের বাড়ি মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায়। ওই সুযোগে সে এই ধরনের অপকর্ম করতে সুযোগ পায়। স্থানীয়রা এর একটি বিচার করে ৮০ হাজার টাকা আলিমকে জরিমানা করেছে বলে শুনেছি।
তবে মেয়েটির চাচা জাহের বলেন, তারা একা একা কি ভাবে বিচার করল। আমাদের ডাকেনি। এমনকি বিচারের টাকা মেয়েটির চিকিৎসার জন্যও দেওয়া হয়নি।
বিচারককারী আলিমুলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আলিমকে ডেকে মেয়েটির চিকিৎসা খরচ দিতে বলেছি। টাকা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কালামের নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে এরকম কোন ঘটনার অভিযোগ আসে নাই। আমি শুনেছি এরকম একটা কিছু হয়েছে। আর বিচার যারা করেছে তারাও টাকা নিয়েছে কিনা আমি জানি না। আমার নিকট আসলে আমি বিষয়টি দেখতাম।
শার্শা থানা ওসি বদরুল আলম বলেন, আমি খবর পেয়ে অভিযুক্ত আলিমকে আটক করেছি। এটা ধর্ষন চেষ্টা বলে তার মা রাবেয়া বেগম অবহিত করেছে। মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।