দৈনিক সমাজের কন্ঠ

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালিত

ছবি - ইব্রাহিম খলিল

মোঃ ইব্রাহীম খলিল ( ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি) :   সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে  সন্ত্রাসী হামলায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ সিনিয়র সাংবাদিক আহত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-ইলাহির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, আনিসুর রহিম, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জী, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, এম.কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত সাংবাদিক নেতারা।

এদিকে, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমদে বাপী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ২৪ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে সম্প্রতি প্রেসক্লাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে এমপি পক্ষের বহিষ্কৃত কয়েকজন সাংবাদিকের নেতৃত্বে বহিরাগত তুহিন, অমিত, রেজাউল, কামরুল, আক্তারুজ্জামানসহ শতাধিক সন্ত্রাসী বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।

এতে আহত হন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাতবারের সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি প্রেসক্লাবের সাবেক পাঁচবারের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আবদুল জলিল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারীসহ ১০ জন সিনিয়র সাংবাদিক। তাদের মধ্যে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও আব্দুল জলিল গুরুতর আহত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মানববন্ধন শেষে দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাবের স.ম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে নাগরিক মঞ্চ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় এবং পর্যায়ক্রমে সাতটি উপজেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।