দৈনিক সমাজের কন্ঠ

দক্ষিনবঙ্গের ছাত্ররাজনীতির এক উজ্জ্বল মুখচ্ছবি সাবেক ছাত্রনেতা শেখ অলিয়ার রহমান

অভয়নগরের সাবেক ছাত্রনেতা শেখ অলিয়ার রহমান। ফাইল ছবি

শেখ তুহিন – দক্ষিনবঙ্গের ছাত্ররাজনীতির এক উজ্জ্বল মুখচ্ছবি সাবেক ছাত্রনেতা শেখ অলিয়ার রহমান। তিনি প্রকৃতই উদীয়মান সকল তরুন ছাত্ররাজনীতিকদের একজন “গুরু” ও একজন যোদ্ধা তিনিই একজন আপাদমস্তক উদীয়মান তরুন রাজনীতিবিদ ও সমাজে সেবক তিনিই হলেন অভয়নগরের একজন সাবেক ছাত্রনেতা ও তরুন রাজনীতিবিদদের আইডল শেখ অলিয়ার রহমান৷ যিনি বড় পদধারী না হয়েও দক্ষিনবঙ্গের ছাত্ররাজনীতির একটা উজ্জ্বল মুখচ্ছবি হয়ে উঠেছেন, যার হাত ধরে ছাত্ররাজনীতিতে এসেছেন অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তিনি সকলের কাছে সাধারন হয়েও অসাধারন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।


যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বন্দরনগরী নওয়াপাড়া পৌরসভার প্রানকেন্দ্র ৫ নং ওয়ার্ড শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে সাহসী ও সময়োপযোগী দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করার অপরাধেই মামলা খেয়েছেন সর্বমোট ১৪ টি মিথ্যা মামলা। পরবর্তীতে অভয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি সদস্য হয়েছিলেন ২০১১ সালে। উক্ত কমিটিতে শীর্ষ পদের যোগ্য দাবীদার হয়েও বছরের পর বছর ধরে অভয়নগর ছাত্রলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় তিনি তার যোগ্যতার মাপকাঠিতে পাওনা গুরুত্বপুর্ণ পদ বঞ্চিত হয়েছেন। পরবর্তিতে তিনি বিয়ে করার কারনে নিজে থেকেই ছাত্রলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করে সবাইকে অবাক করেছেন৷

তিনি ২০১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি নওয়াপাড়া পৌর কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদন্দিতা করেন তবে তিনি হেরে গেলেও এই অল্প বয়সে তিনি তার রাজনৈতিক যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা দেখিয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালে অভয়নগর উপজেলার প্রাচীনতম পূর্ব বুইকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সকলকে বিস্মিত করে দেন এবং তার কর্মদক্ষতায় তিনি ২০১৭ সালে অভয়নগরের সকল প্রাইমারী স্কুলগুলির ভিতর শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হন।

এরপর তিনি তার কর্মদক্ষতা দেখিয়ে স্কুল, মাদ্রাসা, ঈদগাহ সহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ৮৮ যশোর ৪ এর মাননীয় সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায় এমপির মাধ্যমে প্রায় সাত শতাধিক নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এলাকার মানুষের সারাজীবনের বিদ্যুতের অভাবের আফসোস ঘুচিয়ে দেন এবং নওয়াপাড়া পৌরসভার সম্মানিত মেয়র বাবু সুশান্ত কুমার দাস শান্ত’র মাধ্যমে  এলাকার বেশ কয়েকটি নতুন রাস্তা পাকা করিয়ে দেবার ফলে এলাকায় তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন।

অত্র অঞ্চলের একমাত্র ভাষা শহীদ মিনারটি নিজ অর্থে এবং নিজের আকা নঁকশায় তিনি নির্মান করেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রেখেছেন। ২০১৮ সালে তিনি অভয়গর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য হন। অনেক অর্থসম্পদ বানাতে পারেননি ঠিকই তবে নিজেকে আদর্শের জায়গায় ঠিক রেখে চলেছেন। গড়ে তুলেছেন নিজের কৃষিখামার।

তিনি আমাদের কে প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু, বঙ্গতাজদের আমলের রাজনীতির গল্প শোনান।
তিনি হলেন আমার ছাত্ররাজনীতির গুরু শেখ অলিয়ার রহমান “অলি ভাই”। চক্রান্তের শত বাঁধা যাকে আটকাতে পারেনি। এলাকায় আজ তার অন্যমাত্রার গ্রহনযোগ্যতা বিরাজমান। আসন্ন পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার এখনই তার উত্তম সময় অথচ আমাদের সবাইকে তিনি বলেছেন ” আমি নির্বাচনে যাবোনা”। কারন জানতে চাইলে তিনি বললেন “কর্মবীর হও”! কর্মবীর হতে পদের দরকার হয়না”।
আসলেই এরকম আদর্শিক নেতারা বড় পদে না থাকলেও সারাজীবনই উজ্জল নক্ষত্র হয়ে বিরাজ করে সবার মাঝে।

 “গুরু” আপনি করে দেখিয়েছেন যে ” কর্মবীর হতে পদ লাগেনা”।

লেখক – শেখ তুহিন