নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ও ভাবী বিরুদ্ধে ছোট ভাই জসীম উদ্দিন (৩১) নামে এক যুবককে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শার উপজেলাধীন জিরেনগাছা গ্রামে। শনিবার ভোরে ছোট ভাই জসিম এর মৃত্যুর পর এলাকায় বড় ভাই ভাবী কর্তৃক ছোট ভাই হত্যা গুঞ্জন ছড়ালে স্থানীয় মেম্বার ঘটনাটি শার্শা থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ ঘটনা স্থলে যাননি। লাশ এর সুরহাতাল রিপোর্ট না করে দাফন করা হয়েছে। এর একদিন পর রোবাবার ঘটনাটি জানাজানি হলে নাভারন সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবং জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য বড় ভাই আব্দুর রউফ (৪০) ভাবী লিপি বেগম (৩৬) ও ভাতিজী সাদিয়া (১৪) কে শার্শা থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত জসীম উদ্দিন ও তার সহোদর আব্দুর রউফ ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে। স্থানীয় রেবেকা বেগম, সাইফুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের ভাইদের মধ্যে বাড়ির জমি জমা নিয়ে একটি দ্বন্দ ছিল। তবে তারা একই বাড়িতে একই ঘরে বসবাস করত। জমীম এর বর্তমানে কোন স্ত্রী ছিল না। এর আগে সে বিয়ে করেছিল তা প্রায় ১০ বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাদের বাড়ির চতুপর্শে প্রাচীর থাকায় ওই বাড়ির মধ্যে কি ঘটেছিল বা কিভাবে জসিমের মৃত্যু হয়েছে তা জানা সম্ভব ছিল না। জসিমের ভাই অভিযুক্ত আব্দুর রউফ জানান, জসিম ডায়বেটিকস সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির আঙ্গীনায় কুঞ্চি গাদায় পড়ে জসিমের মুখে ক্ষত হয়। শনিবার সকালে ঘরের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। শ্বাসরোধ করে হত্যার কোন ঘটনা ঘটেনি। কিছু মানুষ মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ জানান তিনি। রউফের চতুর্থ শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে সানজিদা বলে তার পিতার সাথে তার কাকার দুই দিন আগে বাড়ির জমি বিক্রি নিয়ে ঝগড়া হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান আলী জানান, লাশ দাফনের আগে তিনি বিস্তারিত পুলিশকে জানিয়ে মৌখিক অনুমতি নিয়ে দাফন করা হয়েছে। পুলিশকে ঘটনা স্থলে আসতে বলা হয়েছিল। এলাকায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পুলিশ আর আসেনি। শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বদরুল আলম জানান, নিহতের পরিবারের কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়নি এবং লাশও ময়না তদন্ত করা হয়নি। নাভারণ সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান জানান, আমরা ঘটনাটি বিভিন্ন মারফতে শুনেছি যে তাদের পরিবারে কিছু সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ ছিল। তবে তাকে এই ব্যাপারে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জসিমের বড় ভাই ভাবি ও ভাতিজীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।