দৈনিক সমাজের কন্ঠ

চাদার দাবীতে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে হত্যা। প্রধান আসামী এসআই আকবর গ্রেফতার

ওয়াকিটকিহাতে ঘাতক এসআই আকবর ও নিহত রায়হান।

সমাজের কন্ঠ ডেস্ক: মাত্র ১০ হাজার টাকা চাদার দাবীতে পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি এসআই আকবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ছদ্দবেশ ধারন করেও শেষ রক্ষা হলোনা এসআই আকবরের। অবশেষে সিলেট সীমান্ত থেকে আটক।

আজ ৯ই অক্টোবর, সোমবার সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে খাশিয়া সম্প্রদায়দের সহযোগীতায় এসআই আকবরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হানকে। এরপর ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

এরপর ১২ অক্টোবর এসআই আকবর হোসেনসহ চারজনকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে আকবরকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি পলাতক ছিলেন।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

 

যেভাবে আটক হলেন এসআই আকবর :

জানা গেছে, আকবর কানাইঘাটের ডনা সীমান্তের ওপারে খাসিয়া পল্লিতে বসবাস করছিলেন। খাসিয়ারা কৌশল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠালে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান। তিনি জানান, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে কানাইঘাটের ডনা সীমান্ত থেকে জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।