গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার শুনানিতে র্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
আদালত ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এস আই নন্দ দুলাল রক্ষিতের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৪ জনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৪ জনকে কারাফটকে দুদিন করে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করে র্যাব। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সিনহার পরিবারের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ, এস আই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে এখনও র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়নি। যেকোনো সময় তাদের র্যাবের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা রাশেদ খান। সুত্র: যমুনা টিভি অনলাইন