সমাজের কণ্ঠ ডেক্স -ফেসবুক লাইভে সোহেল তাজ অপহরণের শিকার ভাগনে ইফতেখার আলম সৌরভের উদ্ধার তৎপরতা এবং এ বিষয়ে বর্তমান তথ্য জানাতে আবারও ফেসবুক লাইভে কথা বলেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বুধবার দুপুরে সৌরভের বাবা সৈয়দ মো. ইদ্রিস আলম এবং মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমানকে নিয়ে লাইভে আসেন তিনি।
সোহেল তাজ বলেন, ‘সারারাত সৌরভের টেনশনে আমরা ঘুমাতে পারিনি। ঘুমানোর সময় রাতে একটি সংবাদ এসেছিল আমাদের কাছে। আপনাদের সেই সংবাদ জানানোর জন্যই মূলত লাইভে আসা।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও অপেক্ষা করছি সৌরভের ফিরে আসার জন্য, কিংবা অতি শিগগিরই তার ফিরে আসার খবর পাব। বুধবার রাতে আমরা একটা জায়গায় গিয়েছিলাম, সেটা সফল হয়েছে, আমরা যে তথ্যগুলো পেয়েছি এবং আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট।’সৌরভের উদ্ধার অগ্রগতি নিয়ে সোহেল তাজ বলেন, ‘আজকে আমরা যে আপডেটা দিতে যাচ্ছি, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে আমার বোন আমাকে ফোন করেন। এবং আমি মানিক ভাইয়ের সংঙ্গেও কথা বলি, তারা আমাকে অবগত করেন যে, সৌরভের ফোন থেকে তাদের ফোনে কল এসেছে দুই তিনবার। কিন্তু ওইসময় কারা ছিলেন, সেটা তারা শুনতে পাননি। তারা বোঝার অনেক চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পাননি।’তিনি বলেন, ‘এরপর তারা অনেকবার সৌরভের নাম্বারে কল করার জন্য চেষ্টা করেছেন, ফোন ব্যাক করার জন্য। কিন্তু হোয়াইটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে কল এসেছে।’এসময় সৌরভের বিষয়ে তার বাবা এবং মায়ের সঙ্গেো কথা বলেন সোহেল তাজ। সৌরভের বাবা এক পর্যায়ে বলেন, ফোন আসার ব্যাপারটি ডিসি কাউন্টার টেরোরিজম, ডিসি নর্থ এবং ওসি পাঁচলাইশকে জানিয়েছি। ফোন ট্র্যাক করে ফোন কোথায় আছে, সেটি জানার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন বলে তারা জানিয়েছেন।পুলিশ প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখার কথা জানিয়ে ফেসবুক লাইভে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমরা তাদের প্রতি আস্থা রেখেই অপেক্ষা করছি। কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে দ্রুত জানাবেন। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’তিনি বলেন, ‘তবে আমরাও থেমে থাকবো না। আমরাও চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারণ এই ধরনের ঘটনা কাঙ্ক্ষিত না। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেদিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।’চট্টগ্রামে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধ, তারই জের ধরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে।গত ৯ জুন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার আফমি প্লাজার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।