জহর হাসান সাগর (তালা প্রতিনিধি ) –
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের বহুল আলোচিত পুষ্প রানী দাসকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় নিহতের আপন বেয়াই জয়দেব দাসকে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে তাকে খুলনা জেলার ফুলতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়।আটককৃত জয়দেব দাস (৫২) পাটকেলঘাটা থানাধীন তৈলকুপি গ্রামের গৌর দাসের ছেলে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারি পরিচালক এম. মাহামুদুর রহমান মোল্লা জানান, গত ২০ জুন বিকেলে তালা থানার বারাত গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের স্ত্রী পুষ্প রানী দাস (৪২) নিখোঁজ হন। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর গত ২২ জুন পুষ্প দাসের ছেলে জয়দেব তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। নিখোঁজের আট দিন পর গত ২৮ জুন দুপুর দেড়টার দিকে গ্রামবাসির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ বারাত গ্রামের পাটক্ষেত থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার রাতেই নিহতের ছেলে জয়দেব দাস বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তালা থানার এসআই প্রীতিশ রায়কে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ও র্যাব। নিহতের মোবাইল কললিষ্ট যাঁচাই করে পুষ্প রানীর মেয়ে অঞ্জলী দাসের শ্বশুর জয়দেব দাসকে খুলনার ফুলতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক জয়দেব দাস তার আপন বেয়ান পুষ্প রানী দাসকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তালা থানার এসআই প্রীতিশ রায় জানান, র্যাব ওই আসামীকে আটক করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন এবং সে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ।