তালায় দূষিত পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে 

0
1
জহর হাসান সাগর (তালা প্রতিনিধি )
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের পাশ দিয়ে বয়ে আসা দোয়ছড়া খাল, কেউ কেউ আবার  হাতির শুঁড় খাল বলে। অনেকের কাছে আবার  হাতির শুঁড় নামে পরিচিত খালটি ।আগোলঝাড়া হয়ে শেখেরহাট মধ্যে বয়ে চলে গেছে শালতা নদীতে এই খালটি তালা সদর ও খলিলনগর ইউনিয়নের পানি নিষ্কাসনের ব্যবহৃত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাক হলদার  জানান যে যখন ২০১১ সালে তালা উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল তখন একমাত্র এই খাল টা  দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়েছিল এর জন্য তালা বাসি বেঁচে গিয়েছিল বন্যা হাত কিন্তু  এই খালটির আশপাশে যারা বসত করছে তাদের গোয়াালের গরুর মলমুত্র ও বিভিন্ন আবর্জনা ইত্যাদি ফেলের কারনে খালটির পানির রং পরিবর্তন হয়ে লালচে রং ধারন করেছে । যা থেকে প্রচুর পরিমানে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে ।                                                                                                                                                                                                                                 
সরজমিনে দেখাযায়, খালটি এখন ময়লা আবর্জনার স্তুপ ও দুগন্ধের কারনে  ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ময়লা আবর্জনা দুর্গন্ধে জনসাধারণ স্বাভাবিক চলাফেরায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর ফলে মশা মাছির উপদ্রপ ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এখন এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে এই খালে ময়লা আবর্জনায় পানি নিষ্কাশনে প্রধান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। দীর্ঘদিন খননের অভাবে খালটি এখন প্রায় স্্েরাতহীন। ময়লা আবর্জনার কারণে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলার ঐতিহ্যের ধারক বাহক এ খালটি এখন মরে গেলেও দেখার যেন কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থার জন্য জনমনে এখন উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে মোস্তাক(৫০),রবিউল(৩৫),রোস্তম(৩০) জানান,এক সময় আমরা এই খালে মাছ শিকাড় করতাম এই খাল ও তার সংযোগ বিল গুলো যেমন দধিসরা ,                                                                                                                                                                                                                                                                                                                           ঢেংগার ইত্যাদিি জলজ জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় প্রজাতির মাছে পরিপূর্ণ ছিল। স্থানীয় মানুষ খেপলা জাল , চাই , পলো , বড়শী , কারেন্ট জাল , পাটা ইত্যাদি ব্যবহার করে এই খাল থেকে বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরে তাদের পরিবারের আমিষের চাহিদা পূরন করত।কেউ কেউ খালের মাছ স্থানীয় হাটে-বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। প্রতিনিয়ত খাল দূষনের কারনে খালটি এখন জলজ প্রানী ও মাছ শূন্য। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে খালিটিতে গরু-ছাগলের মলমুত্র,ময়লা আর্বজনা ফেলার কারনে খালটি এখন ডোবায় পরিনত হয়েছে । পানির রং লালচে আকার ধারন করেছ প্রচুর পরিমানের দুগন্ধ বের হয় ।

এই ভাবে খাল দুশন চলতে থাকলে যতাযত সংস্কার না হলে প্রচিন গ্রাম  বাংলার সেই মহামারী  বেধি  পানি বাহিত কলেরা আবারও ফিরে  আসতে পারে যদি অতিদ্রুত এই অবস্থা থেকে পরিত্রান না পাওয়া যায় তাহলে খালটি ধ্বংসের মুখে পতিত হবে এবং  আগামী প্রজন্মকে বাসযোগ্য করে গড়তে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে খাল পুনরুদ্ধার করে পর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে না পারলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here