জহর হাসান সাগর, তালা প্রতিনিধি। সাতক্ষীরার তালা সদর ইউপির জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতিক পেয়েই শুরু করেছেন গণসংযোগ। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে লাঙ্গল প্রতিক তুলে দেন নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায়।
প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার পর জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস.এম নজরুল ইসলাম বলেন, বিগত দিনে আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে তালা উপশহরসহ ইউনিয়নের প্রত্যেকটি গ্রামে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ হয়েছে। সরকারি ত্রাণের ঘর ফ্রি পেয়েছে মানুষ। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে প্রত্যেকটি প্রকল্প ও অসহায়দের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান তালার চেয়ারম্যান সরদার জাকির প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত। তার অপরভাই সরদার মশিয়ার রহমান জেয়ালানলতার লুৎফর নিকারীকে হত্যা করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার পত্রে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। তারা পুলিশকে মারপিট, হত্যা, মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়ে তালার মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
সম্প্রতি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বলেন, খানপুর ঋষিপাড়ায় আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে একজনকে কুপিয়ে জখম ও আটটি মোটর সাইকেল ভাংচুর তছনছ করেছে বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার জাকিরের সন্ত্রাসী বাহিনী। ঋষিপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরবাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাংচুর তান্ডব চালিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের কেউ নন তারা হাইব্রিড। এরাই জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে তালায়। গত উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমারের নৌকা প্রতিকের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে আনারস প্রতিকের নির্বাচন করেছিল। তালার মানুষ এই সন্ত্রাসী পরিবার থেকে পরিত্রাণ পেতে আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। ইতোমধ্যে নৌকাকে ভোট না দিলে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে এই সন্ত্রাসী বাহিনী। বিষয়টি কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার জাকির সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করেছে। আমি তালার মানুষদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামী ১১ এপ্রিল ভোটের মাধ্যমে এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত ও বর্জন করুন। আমি নির্বাচিত হলে তালার মানুষের সুশাসন ও উন্নয়ন ফিরিয়ে দেব।
তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় বলেন, সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে। ইতোমধ্যে যে সকল অভিযোগ পেয়েছি সেগুলো আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লক্ষ্য করতে মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পাবেন।