জহর হাসান সাগরঃ সাতক্ষীরার তালায় এনএটিপি-২(১ম সংশোধনী) প্রকল্পের আওতায় সিআইজি চাষিদের মাঝে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের উপকরণ বিতরণে অনিয়ম ও দূর্নীতির করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(২২শে মে) তালা উপজেলা মৎস্য অফিসে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগদা খাঁ বাবলী,র সভাপতিত্বে প্রদশর্নী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরশিদা পারভীন পাপড়ী সহ মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রকাশ,এনএটিপি-২(১ম সংশোধনী) প্রকল্পের আওতায় প্রতিজন উপকারভোগীকে মাথাপিছু ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের উপকরণ দেওয়ার কথা থাকলেও নামত্র মাছের খাদ্য ও একটি সাইনবোর্ড প্রদান করায় মৎস্য চাষিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) (১ম সংশোধনী) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের মাছের খাদ্যসহ মৎস্য চাষের বিভিন্ন উপকরণ বরাদ্দ আসে।বরাদ্দ হিসেবে তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের মধ্য প্রতি ইউনিয়নে জন্য ২ জন করে মোট ২৪ জন ও বিশেষ কোটায় ৬ জনকে মোট ৩০জনকে উপকরণ প্রদান করা হয়। তবে এই উপকরণ বিতরণের সময় স্বজনপ্রীতি করা সহ উপকরণের বরাদ্দর টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতি উপকারভোগীদের জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ আছে সেখান হতে ভ্যাট ও ট্রাক্স প্রদান শেষে ১৭ হাজার(মৎস্য অফিসের মতে) টাকা উপকরন আনয়ন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিজনকে প্রদান করা হয়েছে ৬ বস্তা ফিড যাহার মূল্য বস্তা প্রতি ১৫০০ শত টাকা ধরা হলে আসে ৯ হাজার টাকা আর একটি সাইবোর্ডের মূল্য সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা করে হলে প্রতি উপকার ভোগী পাচ্ছেন ১০ হাজার টাকার উপকরণ বাকি ৭ হাজার টাকা গেল কোথায় ? প্রশ্ন এখন জনমনে। একই হিসেবে উপকার ভোগী একজনের কাছ হতে ৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করলে ৩০ জনের কাছ হতে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তথ্য বলছে।
এদিকে তালা সদর ইউনিয়নের উপকরণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি করে একটি গ্রামে ২ জনকে উপকরণ প্রদান করা হয়েছে এবং অন্য গ্রামে একটি। প্রসঙ্গত তালা সদর ইউনিয়নের ২৭ টি গ্রাম তাহলে বাকি ২৫ টি গ্রামের লোক উপকরণ পেল না কেন?
নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন মৎস্যচাষি অভিযোগ করেন, ‘মৎস্য অফিসার উপকরণ বিতরণে সীমাহীন অনিয়ম করেছেন। আমাদের যে উপকরণ প্রদান করা হয়েছে তাহার মূল্য আদৌ ১৭ হাজার টাকা হবে না।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার স্নিগদা খাঁ বাবলী বলেন, ‘উপকরণ সঠিকভাবে প্রদান করা হয়েছে। কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি করা হয়নি। তবে ১৭ হাজার টাকার হিসেবে বিষয় শুনতে চাইলে তিনি অফিসে এসে দেখা করতে বলেন।