টাঙ্গাইল প্রতিবেদক – সামাজিক অবক্ষয়ের চুড়ান্ত রুপ।শিশু থেকে শতবর্ষী কেউ রেহাই পাচ্ছেনা! এতেও আবার রোজাদার!! টাঙ্গাইলে রোজাদার শতবর্ষী অন্ধ বৃদ্ধা নারী ধর্ষণের শিকার। টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার নবগঠিত ফুলবাগচালা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে শতবর্ষী এক বৃদ্ধা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একশত বছরের বেশি বয়সের এই বৃদ্ধা, বয়সের ভারে অন্ধ হয়ে গেছেন অনেক আগেই। চলাফেরাও ঠিকমতো করতে পারেন না তিনি। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যার আগে উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তোতা খার বখাটে ছেলে সোহেল (১৩) বৃদ্ধার মুখ বেধে তাকে ধর্ষণ করে।
বৃদ্ধার ছেলে বাড়ি ফিরলে তার কাছে রোমহর্ষক সেই ঘটনার বর্ণনা যখন দিচ্ছিলেন তখনও বৃদ্ধা মা খুব করে কাঁদছিলেন। ঠিক মত কথাও বলতে পারছিলেন না।
বৃদ্ধা ধর্ষক বালকটিকে সে সময় বলছিল, ‘আমি রোজা, কে তুমি বাবা? আমি আল্লাহ্ নবীর রোজা রাখছি, আমাকে ছেড়ে দাও’। মুখ বাঁধা থাকায় ঠিক মতো কথা বলতে ও নিশ্বাস নিতে না পারা এবং এই বয়সে যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, প্রায় মরার মতই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বৃদ্ধা মা এখনো মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছেন।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ইজ্জত সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নেয়নি।
জানা যায়, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারই বেশি তৎপর রয়েছে।
এমনকি ভুক্তভোগী পরিবার থানায় মামলা পর্যন্ত করেনি, মৃত্যুপথ যাত্রী বুড়িমার সম্মানের ভয়ে। এতে বুড়িমার সম্মান যাচ্ছে? নাকি বালকটির? সেটা নিয়ে তার ছেলে সহ প্রতিবেশীরা চিন্তিত।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষক বালকটি স্কুলের বারান্দায় কখনো পা রাখেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ছেলে সব রকমের নেশা করে ও নানা অপরাধ করে বেড়ায়।
একটা ছেলে পরিবার থেকে কতটুকু নৈতিকতা ও মূল্যবোধ এর শিক্ষা না পেলে, এই বয়সেই এমন বিপথগামী হতে পারে, এসব ভাবনা গ্রাস করেছে এলাকাবাসীর মনে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ইজ্জতের ভয়ে ধর্ষকের বিচার না চাইলেও, বুড়ি মা এর সুষ্ঠু বিচার চান! না হলে এই ছেলে কালকে শিশু, পরশু কিশোরী তারপর গৃহবধুকে ধর্ষণ করবে, তখন এর দায় কে নেবে?
এই ছেলের ভবিষ্যৎ অপরাধ নিয়ে এলাকাবাসীও খুব শঙ্কিত। এ ঘটনার বিচারও যদি না হয়, তবে চাঁদপুর তথা মধুপুরবাসীর জন্য এর চেয়েও ভয়াবহতা অপেক্ষা করছে।
এলাকাবাসীরা জানান, বাংলাদেশ এভাবে চলতে থাকলে, এর ভবিষ্যৎ খুবই অন্ধকারাচ্ছন্ন। আর কোন বৃদ্ধা মা ও নারী এবং শিশু যেন ধর্ষিতা না হয়, সে জন্যে মধুপুর থানা ও টাঙ্গাইল জেলা পুলিশসহ, গনমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
তারা জানান, আপনারা এর সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করণে ব্যবস্থা নিন এবং একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর কেউ ঘটাতে সাহস না পায়।