সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – “চা”পাতা বিনিময়ে ট্যাংক উপহার। ১৯৭৩ সালে আরব -ইসরাইল যুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রতি আরব/মুসলমান দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু ঠিক করলেন আরব দেশগুলোতে বাংলাদেশের উৎপাদিত তাজা এবং উন্নত মানের “চা” উপহার দিবেন।যুদ্ধে সৈনিকদের ক্লান্তি এবং আরো মনোযোগী উৎসাহ নিয়ে যুদ্ধে শত্রুদের মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে “চা” তাই বঙ্গবন্ধু আরব দেশগুলোকে “চা” উপহার দেয়।বঙ্গবন্ধুর এই উপহার পেয়ে খুশি হলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত। মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত তাই উপহারের প্রতিদান হিসেবে বাংলাদেশকে টি-৫৪ ট্যাংক উপহার হিসেবে দেয় যা পরবর্তীতে চায়নিজ ভার্সন টাইপ-৫৯ হিসেবে পরিচিত হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টাইপ-৫৯ ট্যাংকের সাথে ট্যাংকের ক্রুরা।ছবটি কতো সালের সঠিক বলতে পারবো না তবে দেখে মনে হয় ১৯৭৫সালের দিকে বা তার পরে তোলা হয়েছে।সোভিয়েতের T-54A ট্যাংকের চায়নিজ ভার্সন হলো টাইপ-৫৯ট্যাংক।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা চীনের কারিগরি সহায়তা নিয়ে এতোদিন এই ট্যাংকটি আপগ্রেডে করে আসতো।তবে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা নিজেরাই আপগ্রেড করে থাকে যা আমাদের কাছে দূর্জয় নামে পরিচিত।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে প্রায় ৩০০+ টাইপ-৫৯ ট্যাংক রয়েছে তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষতার সাথে ১৭০+ টাইপ-৫৯ট্যাংককে দূর্জয় ক্লাসে রূপান্তরিত করেছেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাড়াও পাকিস্তান,ইরানের সেনাবাহিনীর বহরে রেখেছে কিন্তু তাদের আপগ্রেডকৃতট্যাংকের তুলনায় দূর্জয় ট্যাংককে আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি ইন্সটল করাতে আধুনিক এবং ধ্বংসাত্মক করে তুলেছে।
– Bangladesh Military Affairs