দৈনিক সমাজের কন্ঠ

বাংলাদেশের সকল মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া জরুরী – তসলিমা নাসরিন

সমাজের কন্ঠ ডেস্ক – নুসরাত জাহান রাফি অগ্নিদগ্ধ হয়ে একনাগাড়ে পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মারা গেছে।এ ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়নকারী এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সারাদেশের মানুষ আওয়াজ তুলছেন।

এরই প্রেক্ষিতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আলোচিত ও সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘সিরিয়াসলি, বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বাচ্চারা সেকুলার বা সাধারণ স্কুলে যাবে পড়তে। ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাইলে ঘরে বসে জানার চেষ্টা করবে, আফটার অল ধর্ম – বিশ্বাস একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। কথা হচ্ছে, মাদ্রাসাগুলোয় যা ঘটছে প্রতিদিন, তার সামান্য যেটুকু খবর আমরা পাচ্ছি তা ভয়ানক ।

মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বাচ্চাদের ধর্ষণ করছে এবং খুন করছে। বাচ্চাদের সংগে কী আচরণ করতে হয়, এই শিক্ষাটিই এদের নেই। এদের আমি শিক্ষক বলতে চাইনা। এরা শিক্ষক নয়, এরা একএকটা লোলুপ বদমাশ, দুশ্চরিত্র, যৌন হেনস্থাকারী, ধর্ষক, খুনী। এই খুনীদের কাছে যে বাবা মা’রা নিশ্চিন্তে বাচ্চা তুলে দেয়, তাদেরও বলিহারি বুদ্ধি!’

তিনি আরো লিখেন, ‘নুসরাত নামের মাদ্রাসার মেয়েটি ধর্ষক সিরাজের কবল থেকে বাঁচতে চেয়েছিল, কিন্তু এই সাহসী মেয়েটিকে বাঁচতে দেয়নি ধর্ষক এবং ধর্ষকের পুরুষ- সমর্থকেরা, পুড়িয়ে মেরেছে। কিন্তু ধর্ষকদের সমর্থনে বোরখাওয়ালীরা রাস্তায় নেমেছে কেন, যে বোরখাওয়ালীগুলো ধর্ষণের শিকার ইতিমধ্যে হয়েছে অথবা হবে? এদের মাথার ভেতর ঠিক কী আছে খুলি খুলে দেখতে ইচ্ছে করে।’