মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি এবং ইউরোপীয় ই্উনিয়ন-ইইউ যৌথভাবে এ রেজোলুশন উত্থাপন করে। যাতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ১০৪ দেশ। রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দেয় ১৩২ দেশ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯ দেশ। আর ভোট দানে বিরত থাকে ৩১ দেশ।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলো হলো— রাশিয়া, চীন, মিয়ানমার, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়ে ও লাওস। ভোট না দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— প্রতিবেশী ভারত, সার্কভুক্ত দেশ নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ প্রত্যাবর্তনই এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান।
তিনি বলেন, এবারের প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সাময়িক আদেশ, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তদন্ত শুরুর বিষয় এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে বঞ্চিত করার মতো নতুন বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
জাতিসংঘে কানাডার রাষ্ট্রদূত বব রে বলেন, অনেকেই মনে করেন রোহিঙ্গারা কণ্ঠস্বরহীন, এটা সত্য নয়। রোহিঙ্গাদের কথা অনেকেই অবজ্ঞা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়গুলো হলো—রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করা, প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা, প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।