ডা. শাহরিয়ার আহমেদ – পাকিস্তান ও বাংলাদেশের দুটি দেশের স্বাধীনতাতেই শ্রেষ্ঠ সম্মান পাওয়া এক মহানায়ক। বিএনপি’র ভুল রাজনীতির করুন বিসর্জন ও বিলিন হয়ে যাচ্ছে জিয়াউর রহমানের অসামান্য সকল অর্জন। অথচ তিনিই এক মহানায়ক।
বৃটিশদের দুই শত বছর রাজত্ব শেষে যখন ভারত স্বাধীন হয়, তার কিছু কাল পর থেকেই পাকিস্তান ও ভারতের ভূ খন্ড নিয়ে একটি স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল। মহাত্মাগান্ধী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও জহরলাল নেহেরুকে ক্ষমতার মোহ থেকে বের হয়ে এসে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তাদের দুই জনের কেহই তা আমলে নেয়নি।
ফলে শুরু হয় ১৯৬৫ দ্বিজাতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ। স্বাভাবিক নিয়মেই পাকিস্তান অংশের নাগরিক হয়ে সেই যুদ্ধে তৎসময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী অফিসার জিয়াউর রহমানও অংশ গ্রহন করেন।
পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমানের সাহসিকতা ছিল ঈর্ষনীয়। ভারতীয় সৈন্যদের তিনি বেশ শক্ত ও সফলতার সাথেই মোকাবেলা করে বিজয়ী হন। সেই যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের বাম হাতে বোমার একটি সেলও লাগে, যে সেলের আঘাতের চিহ্ন দিয়েই ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমান যখন শহীদ হন, তখন তাঁর লাশ সনাক্তকরন হয়েছিল।
পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে জিয়াউর রহমান তাঁর বীরত্ব গাঁথা লড়াইয়ের জন্য পাকিস্তান সরকার কর্তৃক জীবিত যোদ্ধাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ খেতাব “হিলাল ই জুরাত” লাভ করেন।
তারপর ১৯৭১ সাল, আবারো সেই জিয়াউর রহমান দেশপ্রেমের টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাধীনতার ষোঘনা করেই দেশ ও জাতির মায়ায় নেমে পড়েন সম্মুখ যুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে যখন দেশ স্বাধীন হয়, তখন আবারো সেই পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের মত বীরত্ব গাঁথা লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ সরকার থেকে জীবিতদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ খেতাব ”বীর উত্তম” লাভ করেন।
বিশ্বের এমন কোন সাহসী এবং সফল যোদ্ধা নেই, যে নাকি দুটি দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়ে জিয়াউর রহমানের মধ্যে এত বড় খেতাব লাভ করেছিলেন।