যশোরের শার্শার গোগায় আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্র হত্যাকান্ডের মুল আসামি হাফেজ হাফিজুর আটক,,,,
নাজিমুদ্দিন জনি, (শার্শা প্রতিনিধি) ।। ছদ্মবেশ ধারন করে যশোর জেলার শার্শা থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্র শাহ-পরান (১২) হত্যাকান্ডের মূল আসামী হাফেজ হাফিজুর রহমানকে খুলনার দিঘলিয়া থেকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
বুধবার বেলা ১১টায় শার্শা থানা চত্বরে সহকারী পুলিশ সুপার নাভারণ সার্কেল জুয়েল ইমরান এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।
ব্রিফিং কালে তিনি বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র শাহ-পরান হত্যা মামলার মূল আসামী হাফেজ হাফিজুর রহমান খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। এরপর শার্শা থানার এসআই মামুনূর রশিদ সংগীয় ফোর্স নাইমুর রহমানকে নিয়া ৮ জুন হইতে ছদ্মবেশ ধারন করে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সম্ভাব্য সকল স্থানে উক্ত আসামীর সন্ধান করিতে থাকে। এক পর্যায়ে নিরলস অভিযানে ১১ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় দিঘলিয়া গ্রামস্থ দিঘলিয়া আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসা হইতে তাকে আটক করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান,
ধৃত মূলআসামী হাফেজ হাফিজুরের নিকট হইতে জানা যায় যে, রমজান শুরু হওয়ার ৩/৪ দিন পূর্বে রাত্রে আসামী তাহার মাথা টিপা’র জন্য ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২)কে তাহার কক্ষে ডাকে। ভিকটিম শাহ-পরাণ (১২) তাহার কক্ষে যায় এবং আসামীর মাথা টিপে দিতে থাকে। একপর্যায়ে শাহ-পরাণ সেখানে ঘুমাইয়া পড়ে। ঐ রাত্রে উক্ত আসামী হাফিজুর ভিকটিম শাহ-পরাণ (১২)এর সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে ভিকটিম শাহ-পরাণ তাহার সহপাঠি এবং মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির নিকট উক্ত সমকামিতার কথা প্রকাশ করে। এরই জের ধরে আসামী ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২) কে কৌশলে উক্ত মাদ্রাসা থেকে শার্শা থানাধীন গোগা ইউনিয়নের গোগা গাজীপাড়া গ্রাামস্থ তাহার বসতঃঘরে নিয়া যায়। অতঃপর সেখানে ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২)কে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং তাহার লাশ বসতঃঘরের মধ্যে চৌকির নীচে রেখে দিয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে দেয়।লাশের দূর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে ঘরের তালা ভেঙ্গে
শাহ পরানের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
শার্শা থানার ওসি এম মসিউর রহমান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আটক হত্যা মামলার আসামী হাফিজুর কে যশোর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে ও আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২ জুন সাড়ে ৪ টার দিকে শার্শা থানাধীন গোগা ইউনিয়নের গোগা গাজীপাড়া গ্রামস্থ মৃত মজিদ মোল্যা ছেলে হাফেজ হাফিজুর রহমান (৩৫) এর বসতঘরের মধ্যে চৌকির নিচে থেকে একই উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহ-পরানের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।