ইকবাল হোসেনঃ “সুস্থ্য কিডনী সবার জন্য- জ্ঞানের সেতু বন্ধনে সাফল্য” শ্লোগানে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় মেডিকেল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের আয়োজনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রশ্নত্তোর পর্বে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা.সাদাহ হাসানের সঞ্চলনায় সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল বাহার খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আফিকুর রহমান। বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন হাসপাতাল সমূহের মহা-পরিচালক প্রফেসর ডা.নাহিদ ইয়াসমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আশরাফ-উজ্জামান, মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা.এএইচএম খায়রুল ইমাম, শিশু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এআরএম লুৎফুল কবীর সার্জারী বিভাগের প্রধান সরদার রেজাউল ইসলামসহ আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।প্রধান আলোচক ডা. সাইফুল বাহার খান বলেন, “মূলত বিশ্বব্যাপী কিডনী সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব কিডনী দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনী রোগে আক্রান্ত যার ১০ থেকে ১১ শতাংশ দীর্ঘ মেয়াদী । যেটা দেশ ও জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন,কিডনী রোগ থেকে আমাদের প্রতিকার পেতে হলে যারা বেশী ঝুকিতে আছেন যেমন- ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,স্থুলতা তাদের বছরের দুবার কিডনী পরীক্ষা করা উচিত। সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে কিডনীরোগের মৃত্যু কমবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,কিডনী রোগ থেকে আমাদের প্রতিকার পেতে হলে যারা বেশী ঝুকিতে আছেন যেমন- ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,স্থুলতা তাদের বছরের দুবার কিডনী পরীক্ষা করা উচিত। সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে কিডনীরোগের মৃত্যু কমবে বলে আশা করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. আফিকুর রহমান বলেন, “সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বে বিভিন্ন দিসব পালিত হয়। বিশ্ব কিডনী দিবসে কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আরো বেশি গবেষণার জন্য আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা প্রয়োজন। সামাজিকভাবে আমরা সচেতন হলে কিডনীর সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
উল্লেখ্য, আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ইউনিট থেকে ১০০ রোগীকে প্রায় ২ হাজার বার কিডনী ডায়ালাইসিস করা হয়েছে।