ফিরোজ জোয়ার্দ্দার-ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের তৌহিদ সানার হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। বিগত ২ মাস ৭ দিন পার হয়ে গেলেও কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় রীতিমত আসামীরা নিহত ও বাদী- স্বাক্ষীদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং আতংকে মধ্য জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। ঘটনার বিবরণে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার দেবদুয়ার গ্রামের রিনা রহমান জানান, মাদক বিক্রির ৪০ হাজার পাওনা টাকা না দেয়ায় কারণে চলতি বছরের ২৬ শে মার্চ বাড়ী থেকে ঘেরের বাসায় ডেকে নিয়ে তৌহিদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে জখম করেন আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের ইসলামুল হক টুটুল, একই গ্রামের আরিফুল ইসলাম কাজল, তার ভাই শরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, আইয়ুব আলী, ইয়াসিন আরাফাত ও বুড়িয়া গ্রামের নাহিদ বাবু। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ৪০ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে ২৬ মার্চ রাতে তার স্ত্রী আছমার কাছে দেওয়া হয়। পহেলা এপ্রিল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে খুলনার ফোরটিস এসকট হার্ট ইনস্টিটিউট এণ্ড রিসার্চ সেন্টারে ৪ এপ্রিল বিকেল ৪ টায় তৌহিদ সানা মারা যান। পরদিন আছমা বাদী হয়ে উপরোক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমানের উপর ন্যস্ত করা হয়। তদন্তে কোন অগ্রগতি না পেয়ে পরে মামলাটির তদন্তভার সাতক্ষীরা সিআইডি’র পুলিশের উপ পরিদর্শক শেখ মেজবাহ উদ্দিনের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়। রিনা রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ২ মাস ৭ দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ ও সিআইডি এ মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকেসহ স্বাক্ষীদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলছেন। ফলে নিহতের পরিবার ও স্বজনরা রয়েছে নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকের মধ্য। জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র পুলিশ উপ পরিদর্শক শেখ মেজবাহ উদ্দিন জানান, মামলাটির তদন্তভার পাওয়ার পর তিনি কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন। এখন তিনি খুলনায় কনফারেন্সে আছেন। মঙ্গলবার কনফারেন্স শেষে তিনি সাতক্ষীরায় ফিরে আসবেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এজাহারনামী আসামীদের ধরা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।