স্টাফ রিপোর্টার –
যশোরের অভয়নগরে যুবলীগ নেতা নাজিম মোল্যার (৩৫) বিরুদ্ধে বাগেরহাট জেলার এক যুবতী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অভয়নগরে এনে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক নাজিম মোল্যা উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। সে সোনাতলা গ্রামের মৃত নওশের মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নাজিম মোল্যা দীর্ঘদিন যাবৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার দেবুরহাট গ্রামের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে গত (৯ অক্টোবর) বুধবার বাগেরহাট থেকে ওই মেয়েকে বিয়ে করার কথা বলে অভয়নগরে নিয়ে আসেন এবং সন্ধ্যায় নিজ গ্রাম সোনাতলার সাহিদুল সরদারের বাড়িতে নিয়ে যান।
সাহিদুল তার বাড়িতে ওই মেয়ে ও নাজিমকে আশ্রয় দিতে রাজি না হলে নাজিম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক পর্যায়ে সাহিদুল তার বাড়ির একটি কক্ষে থাকার অনুমতি দিলে ওই রাত থেকে নাজিম মেয়েটির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
এলাকাবাসী জানায়, গত (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সাহিদুল সরদার জানান তারই বাড়িতে এক বহিরাগত যুবতী মেয়েকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে নাজিম মোল্যা। বিষয়টি জানার পর গ্রামবাসী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং যুবতীকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করে। এসময় ধর্ষক নাজিম তার ভোটার আইডি কার্ডসহ মানিব্যাগ ফেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
যুবতীর বাবা বলেন, কয়েকদিন যাবৎ তার মেয়েকে খুজে পাচ্ছিলেন না। অভয়নগর থেকে পুলিশ খবর দিলে তিনি চলে আসেন এবং মেয়ের বেহাল অবস্থার কথা শুনে অচেতন হয়ে পড়েন। তিনি নাজিম মোল্যার মত প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আমতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই গৌতম ম-ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই যুবতী মেয়েটির পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নাজিম মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত প্রতারক নাজিম মোল্যাকে আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তালিম হোসেন জানান, ঘটনা জানার পর নাজিম মোল্যাকে তার পদ ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।