স্টাফ রিপোর্টার-অভয়নগরে প্রেমিক কর্তৃক প্রতারিত হয়ে সেই কলেজ ছাত্রী এবার বিয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করলো। সম্মাদ সম্মেলনে সে লিখিত বক্তব্যে জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার পরও বিয়ে করতে অস্বীকার করছে তার প্রেমিক সজিব হোসেন। সে অভয়নগর উপজেলার বুনোরামনগর গ্রামের মিকাইল মোড়লের ছেলে অসহায় মেয়েটির পরিবার বিচাররের দাবিতে দারে দারে ঘুরছে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসেও হচ্ছে না বিষয়টির প্রতিকার।
নিরুপায় ভুক্তভোগী পরিবারটি মেয়ের সম্ভ্রমহানি ও প্রেমিক কর্তৃক নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার লিখিত অভিযোগ থানায় দায়ের হলেও পুলিশ কার্যকর কোন ভূমিকা রাখেন নি। এমনই অভিযোগ নিয়ে সোমবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে ভুক্তভোগী কলেজপড়–য়া মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, অভয়নগর উপজেলা বুনারামনগর গ্রামের মিকাইল মোড়লের ছেলে সজিব হোসেন (২০) গত চার বছর ধরে শংকরপাশা গ্রামের আনোয়ার হোসেন খানের কলেজ পড়–য়া মেয়ের প্রেম করে আসছে। প্রেমের সম্পর্ক এমনই পর্যায়ে পৌঁছে যে, বিয়ে প্রলোভনে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কেরও সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মেয়েকে বিয়ের জন্য তার বাবার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার নিয়ে আসার কথা বলে প্রেমিক সজিব হোসেন। প্রেমিকের কথা শুনে প্রেমিকা কলেজ পড়–য়া মেয়েটি গত ১৮জানুয়ারি তারিখে তার বাবার বাড়ি থেকে নগদ ৮০হাজার টাকা সজিবের হাতে তুলে দেয়। নগদ টাকা হাতে পেয়ে প্রেমিক সজিব বিভিন্ন অজুহাত খাঁড়া করে সটকে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে অসহায় মেয়েটি গত ১২জানুয়ারি তারিখ বিকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সজিবের বাড়ির অভিভাবকদের ঘটনাটি খুলে বললে সজিবের পরিবার মেয়েটিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে মেয়েটির বাবা আনোয়ার হোসেন খান জানান- আমি ছেলেটির পরিবার ও স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বারকে বিষয়গুলো জানালে তারা আমাকে আমার মেয়েকে বিয়ের আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে ছেলের পরিবারটি বিয়ের পরিবর্তে নানা ধরণের তালবাহানার সৃষ্টি করে চলেছে। তিনি আরও জানান- এ অবস্থা চলতে থাকলে তার মেয়েটি হয়তবা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতেও পারে। তিনি তার মেয়ের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ওই পরিবারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতারিত ওই মেয়েটিসহ তার বাবা আনোয়ার হোসেন খান ও ফুফু খাদিজা পারভীন।