মনিরুজ্জামান মিল্টন,অভয়নগর প্রতিনিধি ঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের কামকুল গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে জমি জমার বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন গ্রুতর আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা আনুঃ ১২টার সময় এঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে ভিকটিমের চাচা আইয়ুব হোসেন মিনা, বাদি হয়ে অভয়নগর থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামিদের সাথে পূর্বেই জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ফলে আসামিরা যোগসাজশে একত্র হয়ে হামলা চালিয়ে বাদির ভাবিসহ ভাইপোকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহতরা হলো, উপজেলার কামকুল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিনার ছেলে মোঃ রানা মিনা(৪০), ও স্ত্রী মোছাঃ তাছলিমা বেগম(৬০)। আহতরা বর্তমানে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবিষয়ে বাদী আইয়ুব হোসেন মিনা জানান,
আমাদের বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে সজিনা গাছের ডাল রোপন করা কালে সকল আসামীগণ জোটবদ্ধভাবে হাতে লোহার রড, রামদা, কোড়াল, তালের রুলসহ দেশীয় অস্ত্রসঙ্গে সজ্জিত হয়ে আমাদের বসতবাড়িতে বাঁধাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমার ভাইপো মোঃ রানা মিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার মাঝ বরাবর স্ব-জোরে কোপ দেয়। আমার ভাইপো মোঃ রানা মিনা দুই হাত দিয়া রামদা ঠেকানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও তার মাথার তালুতে রামদার কোপ বসিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়া পড়ে সকল আসামীগণ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। আমার ভাবি ঠেকাতে গেলে তারা আমার ভাবিকে ও মারপিট করে আহত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমিসহ স্থানীয়রা দ্রুত আহত দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছি। অভিযোগের আসামি করা হয়েছে উপজেলার কামকুল গ্রামের মৃত- মান্নান মিনার ছেলে নানু মিনা(৫১), তিতু মিনা(৪৫), মোস্তাফিজুর মিনা(৫০), মফিজুর মিনা(৪৮), এবং নানু মিনার ছেলে সোহেল মিনা(৩০), এবং মোস্তাফিজুর মিনার ছেলে মোনায়েম মিনা(২৬)। উল্লেখ যে আসামিদের মধ্যে সোহেল মিনা ও মোনায়েম মিনার বিরুদ্ধে কাজ্বল বিশ্বাস হত্যা মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে নানু মিনার ছেলে সোহেল মিনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদেরকে তারা আরো মারপিট করেছে আমরা তাদের গায়ে কোন হাত দেয়নি, বরং তারাই লাঠি সোটা নিয়ে আমাদের জমিতে গাছ লাগাতে বাঁধা দিয়েছে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।