যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেনারেল হাসপাতালে ১০ বছরের সেই আলোচিত শিশু একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তার সন্তান প্রসাব করিয়েছেন। যার ওজন আড়াই কেজি।
শিশুর স্বজনরা জানান, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়ায় হাসপাতালের ডাক্তার নিলুফার ইসলাম তাকে খুলনায় রেফার করেন। কিন্তু টাকার কারণে তাকে খুলনায় নিতে না পারায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে রয়ে যায়।
শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ডাক্তার নিলুফার ইসলাম ও ডা. তানজিলা ইসলাম সিজার করে পুত্র সন্তান প্রসাব করান। প্রসবের পর শিশুটির ওজন হয়েছে আড়াই কেজি। মা ও শিশুর অবস্থা ভাল। তবে অল্প বয়সে মা হওয়ায় তার অবস্থায় কিছুটা। তবে মোটামুটি ভাল আছে বলে জানান ডাক্তার নিলুফার ইসলাম।
এদিকে ১০ বছরের শিশু সন্তান প্রসবের সংবাদ পেয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ শিশু মাকে দেখতে যান। এ সময় তিনি খোঁজ খবর নেন।
প্রসঙ্গত, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সহকারী কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার লালসার শিকার হন তার বাড়ির গৃহপারিচারিকা ১০ বছরের শিশু। পরবর্তীতে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে সে গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পুলিশ এ সময় তাকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং এসময় তার ডিএনএ টেস্ট করে রিপোর্ সংরক্ষণ করে। সন্তান প্রসবের পর তার ডিএনএ টেস্ট করে গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।