ইছামতিতে শেষ হলো দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন

0
1
ইছামতিতে প্রতিমা বিসর্জনের চিত্র

ডা. শাহরিয়ার আহমেদ: করোনার কারণে কয়েক শতকের ঐতিহ্যের টাকির ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জন এবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল অনেকেই। বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ইছামতিতে প্রতিমা বিসর্জন হবে, তবে বেশ কিছু নিয়ম বিধি বেঁধে দেওয়া হয় । বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কেউ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট লংঘন করবে না।

বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ দেশের সীমানার মধ্যেই থাকবে। ইছামতীর মাঝ বরাবর কড়া নজরদারিতে থাকবেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আইসি মোহাম্মদ সাহেব আলী, সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার পুলিশ আধিকারিক এম ডি শফিউল ইসলাম। ভারতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের ইনচার্জ নিরাজ কুমার দাস, বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি ট্রাফিক মহসিন আখতার, বিডিও অরিন্দম মুখার্জী সহ টাকি পৌরসভার প্রশাসকরা। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্বমহামারী করোনা আবহের মধ্যে এবার ইছামতিত নদীতেই ভাসানো হবে প্রতিমা।

অল্প কিছু সংখ্যা প্রতিমার নৌকা নামবে ,কিন্তু কোনও দর্শনার্থীদের নৌকা নদীতে নামবে না । পাশাপাশি ৫ থেকে ১০ জনের বেশি নৌকায় উঠতে পারবে না। এছাড়াও নদীর পাড়ে মানুষ সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ইছামতি নদীর ভাসান দেখতে পারবে। জমায়েত করা যাবে না ।

সেটা একেবারে হাইকোর্ট নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এই প্রতিমা বিসর্জন হবে ইছামতির বক্ষে। কলকাতা থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন এই এপার বাংলা ওপার বাংলার মেলবন্ধনের ঐতিহ্যশালী দীর্ঘদিনের ইছামতি নদীতে ভাসান দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন কিন্তু বহু মানুষ একদিকে হতাশা নিয়ে ফিরে গেলেন। কিছু মানুষের বক্তব্য একটু হলেও টাকিতে পৌঁছাতে পেরেছি এটাই ভালো ।

তবে এদিন টাকিতে আগত দর্শনার্থীদের অনেকেই মাস্ক পড়ে ছিলেন না বিসর্জনের অনুষ্ঠানে গা ভাসাতে গিয়ে অনেকেই নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখেননি।

 

 

সূত্র: Kolkata24x7

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here