বাংলাদেশের সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেবে ভারত

0
2

সমাজের কণ্ঠ  ডেস্ক  ৯ আগস্ট, ২০১৯ : 

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে আলোচনার বিষয়গুলো ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে  জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আগরতলা বিমানবন্দরকে জমি দেওয়ার বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।

তিনি আরো বলেন, কথা ছিল যে, ইলিগ্যাল ট্রেসপাস যাতে না হয় সেটার জন্য, সেটার জন্য আমরাও বলেছি যে বর্ডারে ইলিগ্যাল ট্রেসপাস হতেই পারে, সেজন্য তারা ভারতের যে অংশটায় কাঁটাতারের বেড়া নেই এখন পর্যন্ত, বাকি রয়েছে, আমাদের সঙ্গে, সেখানে তারা বেড়া দিতে চায়। আমরা বলেছি, যেভাবে তারা বেড়া দিয়ে আসছে, সেভাবে দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতি বছরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে এ ধরনের বৈঠক হয় জানিয়ে কামাল বলেন, কিছু অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে, যেসব বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে, তা দুই পক্ষ বসে ঠিক করে নেবে।

তিনি আরো বলেন, মাদক নিয়ে আলাচনা হয়েছে। তারা বলেছে, ইয়াবা তাদের দেশেও ঢুকে যাচ্ছে এবং আমাদের সহযোগিতায় এটা তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা সহযোগিতা করছে, এটা বজায় রাখতে বলেছি, তারা রাজি হয়েছেন এবং প্রয়োজন হলে আরো সহায়তা দেবেন।

মোদি বলেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক লিডারশীপে বাংলাদেশ একটি নতুন উচ্চতায় চলে গেছে। সব দেশেরই এটা অনুসরণ করা উচিত … কীভাবে জঙ্গিসন্ত্রাস দমন করে এই সুন্দর মডেলে তিনি দেশকে নিয়ে এসেছেন সেই মন্তব্য করেছেন মোদি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে ভারতের কিছু করার থাকলে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মোদি। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু তার ছোটবেলা ভারতেই কাটিয়েছেন, তার অনেক স্মৃতিবিজড়িত ভারত। মোদি বলেছেন, (বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে) আমরা কিছু করতে পারলে খুশি হব।

এছাড়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। প্রয়োজনে মিয়ানমার সরকার প্রধানের সঙ্গে আবারো এ নিয়ে কথা বলবেন মোদি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি মনে করেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে হবে। মিয়ানমার সরকারপ্রধান যখন (ভারতের) নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তখন তাকে এ বিষয়ে বলেছেন এবং প্রয়োজনে আবারো বলবেন।

মন্ত্রী বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও আবাসনে আপনারা সহায়তা করছেন। আসলে এদের প্রত্যাবসনে কফি আনান কমিশন যে ফমূর্লা দিয়েছেন সেটা অনুসরণ না করলে প্রত্যাবাসন হবে না, তারা গেলেও আবার ফেরত আসবে। তখন তিনি (মোদী) বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি মিয়ানমারের সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here