বাংলাদেশের ৮০ভাগ রোগী ডাক্তারদের সেবায় সন্তুষ্ট।মিডিয়া বলে কসাই।পাবলিক বলে ভগবান

0
3

ডা. রেজাউল করিম সরদার (খুলনা) – বাংলাদেশের ৮০ভাগ রোগী ডাক্তারদের সেবায় সন্তুষ্ট।মিডিয়া বলে কসাই।পাবলিক বলে ভগবান। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশের ডাক্তারদের ” স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সমীক্ষা। তাতে ফলাফল রীতিমত এই মিডিয়া মাস্তানদের ভড়কে দিয়েছে। ভুক্তভোগীদের ওপর জরিপে দেখা যায়,

হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে ৮০ শতাংশ রোগী সন্তুষ্ট। মিডিয়া মাস্তানির কর্নধাররা বেশির ভাগ জিনিসটি হজম করতে পারে নি। তাই বেশির ভাগ হলুদ মিডিয়াসহ মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় খবরটি আসে নি। এটি ছাপলে ওদের নাক কাটা যাবে যে! ওরা পাবলিককে শেখায়, ডাক্তাররা কসাই ; আর পাবলিক বলে ,ডাক্তাররা ভগবান।
যাই হোক, প্রথম আলো সহ দুয়েকটি মিডিয়া অতি সংগোপনে ভেতরে কোনাকাঞ্চিতেরিপোর্টটা দিয়েছে।

সেটি আসুন,এবার মিডিয়া মাস্তানদেরনিয়েপাঠ করি। সরকারি হাসপাতালে হাজারো বরাদ্দগত অপ্রতুলতা স্বত্ত্বেও ডাক্তারদের আপ্রান চেষ্টায়সেবা চলছেই। সেটাসাধারণ মানুষ ঠিকইবোঝে। তাইপ্রায় ৮০ শতাংশ রোগী চিকিৎসা পেয়ে সন্তুষ্ট।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি শাখার এক সমীক্ষায় এই তথ্য পাওয়া গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল সেক্টর ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য অর্থনীতি শাখার পক্ষে এই সমীক্ষা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতি একটি চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও শাখার কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জটিলতাও ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য বাধা। কর্মকর্তাদের একেবারে কোনো প্রশিক্ষণ না থাকাও সেবার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্তরায়।

যশোর, ভোলা, মৌলভীবাজার, পঞ্চগড়, খাগড়াছড়ি, মানিকগঞ্জ, শেরপুর ও নাটোর—এই ৮টি জেলায় ২০১৬ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সমীক্ষা করা হয়। এসব জেলার ৮টি জেলা হাসপাতাল, ৮টি বেসরকারি হাসপাতাল, ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা পরিস্থিতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। রোগী ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ ১ হাজার ৭২৮ জনের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়।

সোশ্যাল সেক্টর ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, কিছু নির্বাচিত সূচকের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবার মান জানাই ছিল এই সমীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় অর্ধেক রোগী চিকিৎসককে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন না। পাবেন কিভাবে ! একজন সরকারি ডাক্তার আউট ডোরে বসলেইকয়েক ঘন্টায় কয়েক শ রোগী দেখতেবাধ্য। সময় দিলেরোগীরাই বিক্ষুব্ধ হবেন। ডাক্তার রোগীর সাথে ফুসুর ফাসুর করে কেন। রো গী তরুণি হলে তো রীতিমত যৌন হয়রানি কেস। আরও কিছুনেতিবাচক তথ্য আছে সমীক্ষায়। প্রতি চারজন রোগীর একজন বলেছেন, হাসপাতালে তাদের সম্মান দেখানো হয় না। দুই-তৃতীয়াংশ রোগী বলেছে, হাসপাতালের খাবার ভালো নয়। তবে ৮০ শতাংশ রোগী হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট।এ নিয়ে ডাক্তারদের আত্মসমীক্ষাও প্রয়োজন।
________________________

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here