নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধিঃ বিএসএফে কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারীতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা আমদানি ,রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকার পর পূনরায় সচল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সন্তোষ জনক আলোচনায় বাণিজ্য সচল হয়।
বেনাপোল স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত পূ্র্বের নিয়মে দুই পাশের স্টাফ সদস্যরা কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াত করবে। এর মধ্যে দুই পক্ষ বসে আর একবার বসে স্থায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
বেনাপোল আমদারি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, দুই দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে ব্যহত হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের লোকশান হয়েছে ১০ কোটি টাকা।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক(প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বাণিজ্যিক কার্য সম্পাদনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াতকারী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ। এতে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪শ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং দেড়শ থেকে ২শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরী পোশাক ও খাদ্যদ্রব রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব উল্লেখ্য যোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।