নাজিম উদ্দীন জনি,শার্শা(বেনাপোল)প্রতিনিধি:
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ছোটআঁচড়া গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে তারই গৃহ কোরআন শিক্ষক আপেল উদ্দিন (৫০) নামে এক লম্পট।
মঙ্গলবার সকালে শিক্ষকের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।বলাৎকারের শিকার ছাত্র বেনাপোল ছোট আঁচড়া গ্রামের ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক ঘরে তালা মেরে পালিয়েছে।
ঘটনার শিকার ছাত্র জানায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় হুজুরের বাড়ির সামনে গেলে তিনি আমাকে ডাক দেন। কিন্তু আমি তখন তাকে বলি সকালে দেখা করবো।
পরের দিন মঙ্গলবার সকালে হুজুরের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় আমি দেখি হুজুর উঠান ঝাড়ু দিচ্ছেন। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কাল রাতে কেন ডাকছিলেন। তখন তিনি আমাকে তার বাড়ির ভিতরে নিয়ে যান। তখন তার বাড়িতে কেউ ছিল না। হুজুরকে ঘরের দরজা বন্ধ করতে দেখে, আমি তাকে বলি দরজা বন্ধ করছেন কেন।আমি স্কুলে যাব। তখন হুজুর আমাকে বলে স্কুলে পরে যেও বলেই দরজা বন্ধ করে আমাকে ঝাপটে ধরে খারাপ কাজ করে। তখন আমি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে।
ছাত্রের দাদা বলেন, কোরআন শিক্ষক আপেল তার বাড়িতে সকাল বেলা তার নাতিকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলাৎকার করে।
এসময় সে চিৎকার দিলে তার গলা চেপে ধরে। পরে আশে পাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে আপেল উদ্দিনকে মারধর করে।এ ঘটনায় স্থানীয় মাতুব্বাররা তার বিচার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি ওই হুজুর একজন খারাপ চরিত্রের লোক। তাই স্থানীয়ভাবে তার বিচার না হয়ে, আইনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আপেলের বাড়ি তালা দেয়া। এসময় এলাকার একাধিক লোকজন অভিযোগ করেন, এর আগেও সে খারাপ কাজ করেছে। তার এধরনের আচারণে তার নিজের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বেনাপোলের সাদীপুর গ্রাম থেকে চলে এসে ছোট আঁচড়া গ্রামে বসবাস শুরু করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই পিন্টু লাল বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া এধরনের স্পর্শকাতর ঘটনা যাচাই-বাছাই করার জন্য থানা থেকে ছোট আঁচড়া গ্রামে পুলিশ পাঠানো হবে।